ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

বন্ধ হওয়ার পথে নরওয়েজিয়ান এয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:১৪ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাস মহাারির ধাক্কায় চরম সংকটে বিশ্ব অর্থনীতি। বিশেষ করে বিমান খাতে এর আঘাত সবচেয়ে কঠিন। এই আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা না থাকায় বিশ্বের বেশিরভাগ বিমান সংস্থাগুলোকেই ঋণ-অনুদানের মতো নানা সহায়তা দিচ্ছে বিভিন্ন সরকার। তবে, ব্যতিক্রম নরওয়েজিয়ান এয়ার। করোনা সংকটে টিকতে না পেরে রীতিমতো বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম সাশ্রয়ী এয়ারলাইনটি।

সোমবার নরওয়েজিয়ান এয়ার জানিয়েছে, নরওয়ে সরকার তাদের বাড়তি আর্থিক সহায়তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, যা তাদের মারাত্মক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জ্যাকব শ্র্যাম এক বিবৃতিতে বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত খুবই হতাশাজনক। মনে হচ্ছে, মুখে চড় মারা হয়েছে।

তিনি বলেন, সারাবিশ্বে এয়ারলাইনগুলো নিজ নিজ সরকারের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে। নরওয়ের অর্থনীতিতে অবদান রাখায় নরওয়েজিয়ান এয়ারেরও সেটি পাওয়া উচিত। কেউ কীভাবে অন্য সিদ্ধান্তে আসতে পারে, যা বোঝা অসম্ভব!

নরওয়েজিয়ান এয়ার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালে। এক দশক পরে এর কার্যক্রম দ্রুত বাড়তে থাকে। বিশ্বের অন্যতম সাশ্রয়ী এয়ারলাইন রায়ানএয়ারের অনুসরণে নরওয়েজিয়ান এয়ারও ফ্লাইট বাড়াতে থাকে। ২০১২ সালে তারা একবারে ২২২টি উড়োজাহাজ কেনার আদেশ দেয়, যা ইউরোপের বিমান খাতের ইতিহাসে রেকর্ড।

jagonews24

তবে এধরনের পদক্ষেপগুলো প্রতিষ্ঠানটিকে দেনার সাগরে ডুবিয়ে দেয়। ফলে পরিস্থিতি একটু খারাপ হলেই সেখান থেকে ফিরে আসার পথ হয়ে যায় অত্যন্ত কঠিন।

মঙ্গলবার প্রকাশিত আয় বিবরণীতে দেখা যায়, কঠিন চাপের মুখে রয়েছে নরওয়েজিয়ান এয়ার। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের ১৪০টি উড়োজাহাজের মধ্যে চলাচল করেছে মাত্র ২৫টি। গত বছর একই সময়ে যেখানে যাত্রীচাহিদা ছিল ১ কোটি ৫ লাখ, এবছর তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০ লাখে।

এসময় প্রতিষ্ঠানটির ত্রৈমাসিক পরিচালন ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ২৮০ কোটি ক্রাউন (৩১ কোটি ডলার)। আর গত বছরের ১৩০ কোটি ক্রাউনের তুলনায় চলতি বছর আয় কমে গেছে অন্তত ৯১ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে নরওয়েজিয়ান এয়ারের হাতে থাকা নগদ অর্থও কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৪০ কোটি ক্রাউনে।

জ্যাকব শ্র্যাম জানিয়েছেন, নরওয়ে সরকার সহায়তা না করায় কর্মী সংখ্যা ১০ হাজার থেকে কমিয়ে ৬০০তে আনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এই সংকটে তাদের আরও বেশি উড়োজাহাজ অচল হয়ে পড়বে এবং ফ্লাইটও কমে যাবে।

সূত্র: সিএনএন

কেএএ/এমকেএইচ