৮০ ভাগ ভোট পাওয়ার দাবি এনএলডির
মিয়ানমারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ৮০ ভাগ ভোট পেয়েছে বলে দাবি করেছে। ইয়াংগুনে এনএলডির কার্যালয়ে দলটির মুখপাত্র ইউ উইন তেইন প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ দাবি করেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
এর আগে রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৬ টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়া দেশটিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। মিয়ানমারের এবারের নির্বাচনে ৪৯৮ আসনের বিপরীতে ছয় হাজারেরও বেশি প্রার্থী এবং ৯১ টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ১১০ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত। তবে নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সেনা সমর্থিত ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি পার্টি ও এনএলডির মধ্যে।
স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৯ টার দিকে মিয়ানমারের ঐতিহাসিক এ নির্বাচনের ফল ঘোষণার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন অনির্বার্য কারণবশত নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় পিছিয়ে দেয়ার কারণে ইতিমধ্যে সু চির দল এনএলডি নির্বাচন কমিশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
নির্বাচনে কারচুপি করতেই ফলাফল ঘোষণার সময় পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এনএলডির সমর্থকরা। এনএলডির মুখপাত্র ইউ উইন তেইন দাবি করেছেন, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যে তাদের দল ৮০ ভাগ ভোট পেয়েছে।
গার্ডিয়ানের একজন সাংবাদিক এনএলডির কার্যালয় থেকে জানান, নির্বাচনের পর থেকেই এনএলডির প্রধান কার্যালয়ে দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন। রোববার রাত থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী লাল টি শার্ট পরিহিত অবস্থায় উচ্চ শব্দে সংগীতের তালে উল্লাস করছেন। যদিও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিভাবে ফল ঘোষণা করা হয়নি তারপরও এনএলডি সমর্থকরা বিজয় উদযাপনে পুরোপুরি প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
১৯৬২ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর সামরিক একনায়কতন্ত্রের অধীনে ১৯৯০ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় এনএলডি জয়ী হলেও ক্ষমতায় যেতে পারেনি। তৎকালীন সেনাশাসিত সরকার তাকে গৃহবন্দী করে। দীর্ঘদিন পর ২০১০ সালে গৃহবন্দী থেকে মুক্তি পান মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী এ নেত্রী। এবারের নির্বাচনে সু চির দল বিজয়ী হলেও সেনা সমর্থিত ক্ষমতাসীন ইউএসডিপি পার্টি ক্ষমতা হস্তান্তর করা নিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসআইএস/এমএস