ফাইজারের ভ্যাকসিনের সফলতার পরও সতর্ক করল ডব্লিউএইচও
মার্কিন ওষুধ প্রস্তুকারক কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক তৈরিকৃত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে ৯০ শতাংশ কার্যকর হওয়ার খবরকে বেশ আশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এ সংস্থা বলেছে, একটি ভ্যাকসিনই সামগ্রিক গেইম চেঞ্জার হবে না।
করোনাভাইরাস মহামারিবিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ দূত ডা. ডেভিড নাবারো বলেন, একটি ভ্যাকসিন সহজলভ্য হওয়ার পর করোনাভাইরাসের বিস্তারের গতি ধীর করার জন্য জনগণ এবং সরকারের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমি কেবল এই নীতিতে জোর দিতে চাই যে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি ভ্যাকসিন চলে এলেও আমরা জরুরি কিছু কাজ করে যাব।
ডা. ডেভিড নাবারো বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি রোধে একটি ভ্যাকসিন সহায়তা করবে। কিন্তু এটি পুরোপুরি গেইম চেঞ্জার হতে যাচ্ছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা বলেন, ভ্যাকসিনটিকে এখনও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের প্রক্রিয়া উতড়ে যেতে হবে। ভ্যাকসিনকে নিরাপদ এবং কার্যকর বলার জন্য কর্তৃপক্ষকে এখনও অনেক ধাপ পেরোতে হবে। এ ধাপ সম্পন্ন করতে আরও কয়েক মাস লেগে যেতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের কুইন ম্যারি ইউনিভার্সিটির বৈশ্বিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডা. সোফি হারমান বলেন, ফাইজারের কাছ থেকে পাওয়া আজকের খবরটি অবিশ্বাস্য রকমের উত্তেজনাপূর্ণ। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় বড় ধরনের গেইম চেঞ্জার হতে পারে এ ভ্যাকসিন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে মহামারি ডেকে আনা এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ কোটি ৯ লাখ ১৯ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১২ লাখ ৬৪ হাজার।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের মহামারির প্রকোপ বৃদ্ধি পেলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় পৌঁছেছে।
সূত্র : বিবিসি।
এসআইএস/পিআর