৩০ টাকার লটারিতে রাতারাতি কোটিপতি প্রতিবন্ধী
অভাবের সংসার, দিনমজুরি দিয়েই চলে সংসার। দারিদ্র্যের তীব্র যন্ত্রণার কথা কাউকে বলতেও পারেন না। কারণ জন্ম থেকেই তিনি বোবা ও বধির। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, বিধবা মা ও এক ছেলে। এক মেয়ে ছিল বিয়ে হয়ে গেছে।
স্ত্রী পুতুল মাঝিও দিনমজুরি করেন। ছেলে সুজন অনেকদিন আগেই পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে দিনমজুরি দেন। ছোট দুটি ঘরে কোনোরকমে তাদের থাকতে হয়। বৃষ্টি হলে ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে। এমনই শোচনীয় অবস্থার মধ্যে তারা দিনানিপাত করেন।
তবে ৩০ টাকার টিকিট কিনে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বাসিন্দা শারীরিক প্রতিবন্ধী হরি মাঝি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া যায়।
সোমবার (২ নভেম্বর) বিকেলে লটারির ফল ঘোষণার পর ভাতার এলাকায় রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায়। এই খবর শুনে অনেকেই তাকে দেখতে আসেন। তবে তার নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রতিবেশীরা পাহারা দিচ্ছেন।
স্ত্রী পুতুল বলেন, তার স্বামী মাঝে-মধ্যে লটারির টিকিট কিনতেন। এদিন ছেলে সুজনের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিয়ে সকালের দিকে ভাতার বাজারে গিয়েছিলেন। তবে টাকা নিয়ে বাজারে গেলেও জানতাম না টিকিট কাটবেন। বিকেলে জানতে পারি এক কোটি টাকা লটারিতে জিতেছে।
হরি মাঝিও আনন্দ চেপে রাখতে পারেননি। তার বিধবা মা আর স্ত্রীকে ইশারায় বলছেন, তোমাদের জন্য ভালো বাড়ি তৈরি করে দেব।
এআরএ/বিএ/জেআইএম