ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে লাদাখে সেনাদের জন্য শীতবস্ত্র কিনছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:১৬ এএম, ০২ নভেম্বর ২০২০

লাদাখে শীতের জন্য তৈরি হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। খুব তাড়াতাড়ি লাদাখের অতি উচ্চতায় তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শীতবস্ত্র কিনছে ভারত। চীনের বিরুদ্ধে অবস্থানে লাদাখে সেনা-জওয়ানদের জন্য অত্যাধুনিক শীতবস্ত্রের প্রয়োজন। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে এ ধরণের শীতবস্ত্র কিনছে নয়াদিল্লি।

লজিস্টিক এক্সচেঞ্জ মেমোরেন্ডাম অ্যাগ্রিমেন্টর আওতায় হবে এই শীতবস্ত্রের আমদানি। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বিশেষ চুক্তি মাধ্যমে শীতবস্ত্র আমদানি করা হবে। সামরিক সরঞ্জাম, খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসার সরঞ্জাম আমদানি বা রফতানি করা হতে পারে এই এগ্রিমন্টের আওতায়।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, লাদাখে সেনাবাহিনীর কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে হবে দ্রুত। কারণ শীতকাল চলে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর কাছে প্রতিকূল পরিবেশই বড় চ্যালেঞ্জ। খাদ্য, বস্ত্র ও জ্বালানি সরবরাহ না থাকলে লাদাখে চীনের মোকাবিলা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে ভারতীয় জওয়ানদের জন্য।

এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে লাদাখের উপযুক্ত শীতবস্ত্র কিনছে ভারত। জানা গেছে, শীতের সময় লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা উন্মুক্ত থাকলেও এবার আর তা রাখা হবে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আসন্ন শীতের কারণে ভারতীয় সেনারা যদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে পিছিয়ে যায়, তবে চীনা সেনারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কৌশলগত অবস্থানগুলো দখল করে নিতে পারে।

বিশেষ করে সীমান্তে গত ৪৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম যেভাবে চীনা সেনারা একশো থেকে দু’শো রাউন্ড গুলি চালিয়েছে, তারপরে আর ঝুঁকি নিতে রাজি নয় ভারত। যদিও শীতের মধ্যে পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যাবে, এমনও আশা করছে না মোদি সরকার।

তবে লে থেকে হেলিকপ্টারে রেশন, মিনারেল ওয়াটার, ফলের রসের প্যাকেট, তেলের সঙ্গে প্রবল শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য তাঁবু, গরম কাপড়ের পোশাক, বিশেষ জুতা, বরফে ব্যবহারের সানগ্লাস পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে।
পাঠানো হচ্ছে বাড়তি সেনাও।

উল্লেখ্য, লাদাখ সীমান্ত রক্ষায় মোতায়েন রয়েছে ৩০ হাজার ভারতীয় সেনা। এবার তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। এসব সেনাদের শীতের জন্য বিশেষ পোশাকের মতো প্রাথমিক জিনিস সরবরাহ করতে সেনাবাহিনী আনুমানিক ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে। এই মুহূর্তে চীনের সঙ্গে শান্তি পুনরুদ্ধারের কোনও আশা নেই। সে কারণেই এই প্রস্তুতি নিয়েছে ভারত।

টিটিএন