ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ইংল্যান্ডে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ১ লাখ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:২০ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০২০

ইংল্যান্ডে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণ থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মহামারির গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং প্রতি ৯ দিনে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।

গবেষকরা বলছেন, ‌‌‘আমরা একটি জটিল অবস্থার মধ্যে আছি।’ বেশ কিছু জিনিস পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তারা। পুরো ইউরোপজুড়েই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ দেশেই সংক্রমণ ও মৃত্যু দ্রুত গতিতে বাড়তে দেখা গেছে।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবারও লকডাউন জারি করতে বাধ্য হয়েছে ফ্রান্স এবং জার্মানি। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা এই বসন্তেই দ্রুত গতিতে সংক্রমণের চূড়ায় পৌঁছে যাচ্ছি।’

ইংল্যান্ডের প্রতিটি এলাকায় সব বয়সের মধ্যেই সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলেই সংক্রমণ বেশি। তবে দক্ষিণাঞ্চলেও পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, প্রতি ৭৮ জনের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত ইয়োর্কশায়ার এবং হাম্বার। সেখানে প্রতি ৩৭ জনের মধ্যে একজন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।

দক্ষিণ-পূর্ব, দক্ষিণ পশ্চিম, ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চল ও লন্ডনে সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমে তরুণদের মধ্যেও সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইংল্যান্ডে প্রতিদিন ৯৬ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। অধ্যাপক স্টিভেন রিলে নামের এক গবেষক জানিয়েছেন, তিনি সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বিষয় খুবই হতাশ। সাম্প্রতিক সময়ে যেসব বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে সেগুলো যথেষ্ঠ নয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

ওই গবেষক বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা জরুরি। সংক্রমণ বৃদ্ধির হার দ্রুত বাড়ছে। তিনি বলেন, সংক্রমণের বৃদ্ধি ঠেকাতে জনসাধারণকে নিয়মগুলো আরও ভালোভাবে অনুসরণ করতে হবে অথবা প্রশাসনকে আরও কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করতে হবে।

তার মতে, এখনই পরিবর্তন আনা সম্ভব না হলে নভেম্বরের শেষ দিকে হয়তো প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। যেভাবেই হোক এই শীতে একই সঙ্গে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ এবং কড়াকড়ির কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণে সামঞ্জস্য আনতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

টিটিএন