ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

নভেম্বরে আসছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন, হাসপাতালকে প্রস্তুতির নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২০

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধপ্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম চালান আগামী নভেম্বরে আসতে পারে। অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের প্রথম চালান গ্রহণ করার জন্য লন্ডনের প্রধান একটি হাসপাতালকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

সোমবার ব্রিটিশ দিনিক দ্য সানের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, লন্ডনের প্রধান একটি হাসপাতালের ট্রাস্টকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যান্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রথম চালান গ্রহণে প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে।

দ্য সান বলছে, ওই হাসপাতালকে আগামী ২ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

গত বছরের আগস্টে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে উৎপত্তি হওয়া নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ১১ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি তছনছ করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ওপর আঘাত হানা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি কার্যকর ভ্যাকসিনকে গেইম-চেঞ্জার হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত যে কয়টি ভ্যাকসিন শেষ ধাপের পরীক্ষায় পৌঁছেছে তার মধ্যে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ার দৌঁড়ে অক্সফোর্ড ছাড়াও ফাইজার এবং বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনও প্রথম সারিতে রয়েছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনাভাইরাসের এজেটডি১২২২ অথবা চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯ নামের ভ্যাকসিনটি গত এপ্রিলে ওষুধপ্রস্তুতকারক জায়ান্ট কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার মালিকানায় নিবন্ধন পায়। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড যৌথভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা এবং উৎপাদন কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে।

শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল পাওয়া মাত্রই ভ্যাকসিনটি যাতে বিশ্বজুড়ে পৌঁছে দেয়া যায় সেলক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও কোম্পানির সঙ্গে সরবরাহ এবং উৎপাদন চুক্তি করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের।

গত জুনে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাস্কল সোরিওট বলেন, করোনার বিরুদ্ধে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনটি প্রায় এক বছরের মতো সুরক্ষা দিতে পারবে।

এদিকে, সোমবার ব্রিটিশ আরেক প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটি প্রাপ্তবয়স্কদের দেহে করোনার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।

গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে দৈনিকটি বলছে, বয়স্কদের দেহে ভ্যাকসিনটি অ্যান্টিবডি ও টি-সেল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ইমিউনোজেনিসিটি রক্ত পরীক্ষায় এসব তথ্য পাওয়া যায়।

এতে বলা হয়, গত জুলাইয়ে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক একদল স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ‘শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা’ তৈরি করেছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। তবে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

এসআইএস/এমএস