যুক্তরাষ্ট্রে অবহেলার শিকার বাস শিল্প, বিপাকে ৮০ হাজার কর্মী
করোনাভাইরাস মহামারিতে আর্থিক সংকটে ভুগছে গোটা বিশ্ব। অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই পড়েছে এর নেতিবাচক প্রভাব। এই মন্দা পরিস্থিতি কাটাতে সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকিসহ রেকর্ড পরিমাণ প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করেছে বেশিরভাগ সরকার। রেকর্ড বাজেট ঘাটতি সত্ত্বেও ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোকে বিপুল অংকের অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে অদ্ভুতভাবে সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে দেশটির বাস শিল্প।
মহামারির মধ্যে গত বসন্তে এয়ারলাইন ও রেল সংস্থা অ্যামট্র্যাককে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের তহবিল থেকে বড় সহায়তা দেয়া হয়েছে। অথচ সংকটাপন্ন হিসেবে ধরা হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের মোটরকোচ শিল্পকে।
আমেরিকান বাস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী পিটার পান্তুসো বলেন, আমি ঠিক ধরতে পারছি না, আমাদের কেন অন্তর্ভুক্ত করা হলো না।
সংস্থাটির হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর বেসরকারি বাসগুলো ৬০০ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দিয়ে থাকে, যা পরিবহন খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশটিতে কেবল বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এর চেয়ে বেশি যাত্রী চলাচল করেন।
পান্তুসো জানান, করোনা সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর বাস শিল্পের এক লাখ কর্মীর মধ্যে অন্তত ৮০ হাজার জনই অবৈতনিক ছুটিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আমেরিকান বাস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, এ শিল্প থেকে অন্য সময় সাধারণত বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার আয় হয়। কিন্তু ২০২০ সালে এপর্যন্ত বাস কোম্পানিগুলো আয় করেছে মাত্র চার বিলিয়ন ডলার।
পিটার পান্তুসো বলেন, আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিটি ক্ষুদ্র ব্যবসাই সামান্য হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু অন্য আর খুব কমই শিল্প রয়েছে যেগুলো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যা অন্তত ছয় মাস-এক বছরের মধ্যে ফের চালু হওয়ার আশা ছিল না। এরপর হয়তো এটি ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের মোটরকোচ শিল্প, স্কুলবাস শিল্প, যাত্রীবাহী নৌযান কোম্পানি সবাই মিলে কংগ্রেসকে তাৎক্ষণিকভাবে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ ও অনুদান মঞ্জুরের আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র: সিএনএন
কেএএ/এমকেএইচ