গবেষণায় সাফল্য, শরীরে নতুন করে তৈরি হবে না করোনা
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সারাবিশ্ব। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে দিন-রাত বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনা নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা সফল হয়েছে। করোনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক বলেছেন, শরীরে করোনার পুনরুৎপাদন হয়তো থামানো যাবে।
তারা বলছেন, যদি শরীরে করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকানো যায়, তবে খুব দ্রুত সেরে উঠবেন রোগীরা। শরীরে অতিরিক্ত কোনও জটিলতাও তৈরি হবে না বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
করোনা ভাইরাসের পুনরুৎপাদন ঠেকানোর পরীক্ষায় বেশ কিছুটা সফলতা এসেছে বলে জানানো হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ভাইরাসের আরএনএ কোষে ঢুকে পড়লে সেই কোষের প্রোটিন শৃঙ্খলকে ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয় করোনা ভাইরাস। এর কারণে ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে।
দেহে ক্রমশ বিস্তার লাভ করতে থাকে করোনা ভাইরাস। ওই কোষ থেকে রসদ সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে করোনা ভাইরাস, তৈরি হতে থাকে নতুন নতুন ভাইরাসের সংস্করণ। এখানেই সমস্যা তৈরি হয়।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানাচ্ছেন, অনেক সময় নতুন নতুন সংস্করণ তৈরি করতে গিয়ে কিছু বিক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন ভাইরাসের জন্ম হয়। একে মিউটেশন বলে। এর জেরে এমন কিছু ভাইরাস তৈরি হয়, যার সংস্পর্শে আগে কখনও শরীরে আসেনি। ফলে আরও জটিলতা বাড়ে।
ফলে অনেক সময় রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ সায়েন্স সেন্টারের গবেষকরা এখানেই সাফল্য পেয়েছেন যে, কিভাবে কোষ থেকে কোষে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া বা মিউটেশন ঘটানো থামানো যায়। এজন্য দুটি মলিকিউল তৈরি করেছেন তারা।
ফলে এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে। সিসর উৎসেচক থেকে এই মলিকিউল গুলো তৈরি হয়েছে। মলিকিউলগুলো শরীরে প্রোটিনের উৎপাদনের হারকে বাড়িয়ে দেয়।
ফলে প্রোটিন শৃঙ্খল ভাঙতে পারে না করোনা ভাইরাস। সাইটোকিনস ও চেমোকিনস নামের এই মলিকিউল দুটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সতর্ক করে বহিরাগত ভাইরাসের উপস্থিতি সম্পর্কে।
সূত্র : ইন্ডিয়া ট্যুডে।
টিটিএন