নাগোরনো-কারাবাখের ৬০৪ সৈন্য নিহত, সংঘাত চলছে
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান সংঘাতে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের সামরিক বাহিনীর অন্তত ছয় শতাধিক সদস্য নিহত হয়েছেন। বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখে পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটেছে বলে অঞ্চলটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সামরিক বাহিনীর আরও ৪৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর আজারি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিবাদপূর্ণ এই অঞ্চলের মোট ৬০৪ সেনার প্রাণহানি ঘটেছে।
এদিকে, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে জরুরি মানবিক সহায়তা বহনকারী বিমানের প্রবেশে তুরস্ক বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আর্মেনিয়া। নাগোরনো-কারাবাখে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সংঘাতে মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত মাসে শুরু হওয়া এই সংঘাতে নিহতদের মরদেহ সরিয়ে নেয়া এবং বন্দিদের মুক্তির লক্ষ্যে এক সপ্তাহ আগে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় নাগোরনো-কারাবাখে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া। কিন্তু উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক অঞ্চলটিতে আটকা পড়েছেন। জাতিসংঘ ওই অঞ্চলে মানবিক সঙ্কট মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
১৯৯০ দশকে নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার মাঝে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং বাস্ত্যুচুত হন ১০ লাখের বেশি। ১৯৯৪ সালে দুই দেশ অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে পৌঁছালেও সময়ে সময়ে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
নাগোরনো-কারাবাখ একটি বিবাদপূর্ণ ছিটমহল। যেখানে আর্মেনীয় খিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর বসবাস। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মুসলিম অধ্যুষিত আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় নাগোরনো-কারাবাখ। আর এতে সমর্থন জানিয়ে আজারবাইজানের বৃহৎ ভূখণ্ড দখলে নিয়ে ছিটমহলটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে আর্মেনিয়া।
এসআইএস/জেআইএম