ফ্রান্সের ৯ শহরে কারফিউ ঘোষণা
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস এবং আরও আট শহরে সান্ধ্যকালীন কারফিউ ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রো। দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া কমিয়ে আনতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে দেশজুড়ে কারফিউ কার্যকর হবে। কমপক্ষে চার সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত এই বিধি-নিষেধ জারি থাকবে।
দেশটিতে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়েছে। শুধু ফ্রান্সেই নয়, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে।
ইউরোপে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। ফলে আবারও কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করতে বাধ্য হয়েছে বিভিন্ন দেশের প্রশাসন।
এদিকে, জার্মানিতে বার এবং রেস্টুিরেন্টের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো আগেই বন্ধ করে দিতে হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দেশজুড়ে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করেছেন চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। গত এপ্রিলের পর প্রথমবার নতুন করে দৈনিক ৫ হাজারের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
অপরদিকে, নেদারল্যান্ডে আংশিক লকডাউন কার্যকর হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কাতালোনিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১৫ দিন সব ধরনের বার এবং রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
চেক প্রজাতন্ত্রে স্কুল এবং বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে চেক প্রজাতন্ত্রে গত দুই সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
ফ্রান্স জানিয়েছে, রাজধানী প্যারিস ছাড়াও মারসেইলে, লিওন, লিলে, সেইন্ট এটিয়েন্নে, রুয়েন, তুলুসে, গ্রেনোবেল এবং মন্টপেলিয়ারে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, কারফিউ চলাকালীন লোকজনের রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য স্থানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। এছাড়া কারফিউয়ের সময় লোকজনের বাড়ির বাইরে বের হতে হলেও বৈধ কারণ দেখাতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তবে যে কোনো ধরনের প্রয়োজনীয় ভ্রমণের অনুমতি দেবে প্রশাসন। এছাড়া কেউ কারফিউয়ের নিয়ম ভঙ্গ করলে ১৩৫ ইউরো জরিমানা করা হবে। স্কুল এখনও খোলাই থাকছে। এছাড়া দিনের বেলায় এক এলাকা থেকে অন্য এলাকাতেও ভ্রমণ করা যাবে।
টিটিএন