ট্রাম্পের ছেলে ব্যারনও আক্রান্ত হয়েছিল করোনায়
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৪ বছর বয়সী ছেলে ব্যারন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। এই তথ্য প্রকাশ করেছেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, এখন আর ভয়ের কোনো কারণ নেই কারণ ব্যারনের করোনা নেগেটিভ এসেছে।
মেলানিয়া বলেন, ‘ব্যারনের যখন করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে তখন আমাদের ভয়টাই সত্যি হলো। তবে সৌভাগ্যক্রমে সে সুস্থ আছে। সে একজন শক্তিশালী কিশোর এবং তার কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।’
চলতি মাসের প্রথমদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং মেলানিয়া ট্রাম্পের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তারপরই হোয়াইট হাউসের একের পর এক কর্মকর্তার করোনা সংক্রমণের খবর সামনে আসতে থাকে।
তবে বর্তমানে ট্রাম্প এবং মেলানিয়া দু’জনই সুস্থ আছেন। এমনকি গত সোমবার থেকে নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এদিকে, লোয়া অঙ্গরাজ্যের দেস মইনসে এক নির্বাচনী সমাবেশে ব্যারনের করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, তার এটা (করোনা) স্বল্প সময়ের জন্য ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় না সে জানে যে তার কি হয়েছিল কারণ তারা তরুণ এবং তাদের ইমিউনিটি সিস্টেম অনেক শক্তিশালী এবং তারা এর সঙ্গে লড়াই করতে পারে।’ ব্যারন এখন করোনামুক্ত আছেন বলেও উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
নিজের ছেলের সুস্থতার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলো যত দ্রুত সম্ভব খুলে দেওয়া উচিত। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষকদের একটি ইউনিয়ন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, তাদের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনী সমাবেশে বলেন, ব্যারনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছিল। এটা খুবই অল্প সময়ের জন্য এবং ব্যারন এখন ভালো আছে। তার এখন করোনা নেগেটিভ এসেছে।
তিনি বলেন, এমনটাই হচ্ছে। লোকজন আক্রান্ত হচ্ছে আবার করোনা চলেও যাচ্ছে। তাই শিশুদের স্কুলে ফেরানোর বিষয়ে জোর দিয়েছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে ‘কোভিড-১৯ ভাইরাসের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা’ শীর্ষ একটি প্রবন্ধ প্রকাশ হয়েছিল। সেখানে ফার্স্ট লেডি তার করোনা অভিজ্ঞতার বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ব্যারনের করোনা সংক্রমণের কথা প্রকাশ করেন।
তিনি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দু’সপ্তাহ আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার মনে ব্যারনের বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন মেলানিয়া।
তবে এখন আর কোনো শঙ্কা নেই এবং তারা এ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছেন কারণ ব্যারেনের করোনা নেগেটিভ ধরা পড়েছে।
তিনি লিখেছেন যে, ‘একদিক থেকে এটা আমাদের জন্য ভালো ছিল যে আমরা তিনজন একসঙ্গেই এর মধ্য দিয়ে গেছি। ফলে আমরা একে অন্যকে দেখে রাখতে পেরেছি এবং এক সঙ্গে সময় কাটাতে পেরেছি।’
এদিকে সোমবার ফ্লোরিডায় নির্বাচনী প্রচারণায় ফিরে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি খুব শক্তিশালী অনুভূব করছেন। এর আগে গত শনিবার তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক শন কনলি জানান, ট্রাম্পের কাছ থেকে এখন আর অন্য কারো করোনা সংক্রমণ ঘটার কোনো ঝঁকি নেই।
টিটিএন