ট্রায়ালে লোক সংকট, পিছিয়ে যেতে পারে মডার্নার ভ্যাকসিন
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রতিযোগিতায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা নাম লিখিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না। ইতোমধ্যেই তাদের ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে। তবে চূড়ান্ত ধাপে এসে নতুন সমস্যায় পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভ্যাকসিন সবার জন্য কার্যকর প্রমাণে সব বর্ণ বা শ্রেণির লোকের ওপর এটি পরীক্ষার প্রয়োজন। কিন্তু শ্বেতাঙ্গ ছাড়া অন্য বর্ণের যথেষ্ট সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী খুঁজে পাচ্ছে না মডার্না। ফলে দ্রুততম সময়ে তাদের ভ্যাকসিন বাজারে আসা নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন শঙ্কা।
মডার্নার ট্রায়াল নিয়ে কাজ করা পাঁচ তদন্তকারী জানিয়েছেন, ৩০ হাজার মানুষের ট্রায়ালে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একটি বড় অংশ শ্বেতাঙ্গ দিয়ে পূরণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গসহ অন্য বর্ণের মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে খুব একটা সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার প্রায় তিনগুণ। আর মৃত্যুহার দ্বিগুণেরও বেশি।
দেশটিতে অশ্বেতাঙ্গদের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জটিলতার ঝুঁকিও অনেক বেশি। ফলে ভ্যাকসিন ট্রায়ালে তাদের অংশগ্রহণ বেশি জরুরি।
নর্থ ক্যারোলিনায় পাঁচটি সাইটে মডার্নার ভ্যাকসিন ট্রায়ালের দায়িত্ব পেয়েছে ডুরহামের ভেলোসিটি ক্লিনিক্যাল রিসার্চ। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ডা. পল ইভান্স বলেন, যেকোনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে জনসংখ্যার সমতায় ভিন্ন পটভূমির লোকদের যুক্ত করা ভয়ঙ্কর কঠিন।
তিনি বলেন, যদি সংখ্যালঘুদের যুক্ত করায় সমস্যা থাকে, তবে সেটি রাতারাতি সমাধান করা যায় না।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র সাত শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিনি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন। দেশটিতে তাদের মোট জনসংখ্যার সঙ্গে তুলনা করলে এটি অন্তত ১৩ শতাংশ হওয়া উচিত।
মডার্নার ১০০টি ট্রায়াল সাইটের মধ্যে এক-চতুর্থাংশই ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউটের অধীনস্থ অ্যাকাডেমিক সেন্টারগুলো পরিচালনা করছে। বাকিগুলোর বেশিরভাগই চালাচ্ছে বাণিজ্যিক ঠিকাদাররা।
করোনা ভ্যাকসিন গবেষণায় মার্কিন সরকারের কাছ থেকে এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থসহায়তা পেয়েছে মডার্না। এছাড়া, নিজ দেশে ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য আরও দেড় বিলিয়ন ডলার দেয়া হয়েছে তাদের।
সূত্র: রয়টার্স
কেএএ/এমএস