ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

টানা ৩ দিন সংক্রমণের চেয়ে সুস্থতার হার বেশি ভারতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:১৮ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

ভারতে গত কয়েকদিনে সংক্রমণ কিছুটা কমতে দেখা গেছে। অপরদিকে প্রতিদিনই সুস্থতার হার বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৬১ এবং মারা গেছে ১ হাজার ১৩০ জন।

অপরদিকে একদিনেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯৩ হাজার ৩৫৬ জন। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা অনেক বেশি। টানা তিনদিন ধরেই দেশটিতে দৈনিক সুস্থতার হার বাড়তে দেখা গেছে।

এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮০। অপরদিকে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৮৭ হাজার ৮৮২ জন।

ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৯ জন। দেশটিতে সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ১১ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষ বর্ধন রোববার জানিয়েছেন, বর্তমানে চারটিরও বেশি করোনভাইরাসের ভ্যাকসিন উন্নয়ন কাজ এগিয়ে আছে।

ভারতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ মহারাষ্ট্রে। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখের বেশি। অপরদিকে মারা গেছে ৩২ হাজার ৬৭১ জন। মহারাষ্ট্রের পরেই সংক্রমণে এগিয়ে আছে অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং কর্নাটক।

আজ থেকে ভারতের আংশিকভাবে স্কুলও খুলে দেওয়া হচ্ছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে অল্প কিছু রাজ্য আংশিকভাবে স্কুল খোলার বিষয়ে একমত হয়েছে।

তবে রাজধানী দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, গুজরাট, কেরালা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ জানিয়েছে, তারা আজ থেকে স্কুল খুলছে না। তবে আসাম, হিমাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, পাঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ, মেঘালয়, এবং জম্মু-কাশ্মীরে আংশিক স্কুল খুলছে।

এদিকে, সোমবার থেকে তাজমহলও খুলে দেওয়া হয়েছে। মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল ভারতের অন্যতম এই ঐতিহাসিক স্থাপত্য। ছয় মাস পর পর্যটকদের জন্য তাজমহলের দরজা খুলে দেওয়া হলো। এর আগে এতো দীর্ঘ সময় ধরে কখনই তাজমহল বন্ধ রাখা হয়নি।

কিন্তু করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত মার্চে পর্যটকদের জন্য তাজমহল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। তবে বর্তমানে মাত্র ৫ হাজার পর্যটককে প্রতিদিন তাজমহলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তাদের নিরাপত্তার বিভিন্ন বিধি-নিষেধ অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

টিটিএন/এমকেএইচ