ভারত সীমান্তে বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে চীন
হিমালয়ের বিতর্কিত সীমান্তে ভারত-চীন উত্তেজনা চলছেই। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও আদতে কেউই সীমান্ত ছাড়েনি। উল্টো সামরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ বিষয়ক একটি সাময়িকী জানাচ্ছে, লাদাখ সীমান্তে চীনের বেশ কয়েকটি বোমারু বিমান দেখা গেছে।
মিলিটারি ওয়াচ ম্যাগাজিনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সেন্ট্রাল থিয়েটার কমান্ড থেকে প্রকাশিত নতুন ছবিতে ভারতের লাদাখ সংলগ্ন বিতর্কিত সীমান্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) পাশে এইচ-৬ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে চীনা সামরিক বাহিনী। খবর এশিয়া টাইমসের।
দেশজুড়ে ২৭০টির বেশি এইচ-৬ বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে চীন। এর মধ্যে বেশিরভাগ পূর্ব উপকূলে আছে সবচেয়ে বেশি; যেখানে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বোমারু বিমান ঘাঁটি। সেখানে মোতায়েন চীনের অনেক বোমারু বিমান যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার বহরে থাকা বিমানের চেয়েও উন্নতমানের।
মিলিটারি ওয়াচ ম্যাগাজিনের ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আকাশে যুদ্ধযানের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচিত একটি হলো এইচ-৬। পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এইচ-৬ থেকে ক্রুজ মিসাইল ছোড়া যায়। লাদাখ সীমান্তে যে কেনো উত্তেজনা শুরু হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা প্রতিহত করতেই চীনের এমন অবস্থান।
কয়েকদিন ধরেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চীনের পঞ্চম প্রজন্মের জে-২০ চেংড়ু যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়। বিশেষত, প্যাঙ্গং হ্রদের দক্ষিণে নতুন করে সামরিক উত্তেজনা শুরুর আগে এই যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়। তবে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সমঝোতায় সামরিক উপস্থিতি হ্রাসের কথা বলা হলেও তা হয়নি।
প্রস্তুতি রয়েছে ভারতেরও। চীনা কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টের মোকাবিলায় ভারত তার আধুনিক প্রজন্মের মিরাজ, সুখোই, মিগ-২৯ মোতায়েন করেছিল আগেই। ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় মোতায়েন করেছে ভারত। উভয় পক্ষের এমন মুখোমুখি সামরিক এই অঞ্চলের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়।
এসএ/পিআর