ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

জানুয়ারিতে পুনরায় চালু হতে পারে ওমরাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:১১ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে আংশিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। ফলে কয়েক মাস পর থেকেই ওমরাহ পালন পুনরায় চালু হতে পারে।

করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে প্রায় ৬ মাস ধরে সৌদিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা কবে তুলে নেওয়া হবে সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আকাশপথ, স্থল এবং সমুদ্রপথে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা আগামী বছরের জানুয়ারি থেকেই তুলে নেওয়া হবে।

ফলে এটা ওমরাহ যাত্রীদের জন্য একটি সুখবর। তারাও হয়তো আগামী জানুয়ারি থেকেই সৌদিতে আবারও ওমরাহ পালন করতে যেতে পারবেন। দীর্ঘদিন ধরেই সৌদিতে ওমরাহ স্থগিত রাখা হয়েছে। আস্তে আস্তে এই প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিভিন্ন দেশে থাকা সৌদি নাগরিকরাও জানুয়ারি থেকে স্বাভাবিকভাবেই সৌদিতে যাওয়া-আসা করতে পারবেন।

এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে, কর্তৃপক্ষের এমন ঘোষণায় বিদেশে লেখাপড়া করছেন এমন সৌদি শিক্ষার্থীদের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।

কারণ স্কলারশীপ পাওয়া শিক্ষার্থী, মেডিক্যাল ফিলোশিপ প্রোগ্রামের প্রশিক্ষণার্থীরা অন্যান্য দেশেও ভ্রমণ করতে পারবেন। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে সৌদির বাইরে থাকা লোকজনও তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাত করার অনুমতি পাবেন।

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকেই আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর নাগরিক এবং সৌদির বাসিন্দা নন কিন্তু ইকামার অনুমতি আছে এমন নাগরিক এবং ভ্রমণ ভিসায় সৌদিতে প্রবেশ করা যাবে।

তবে করোনামুক্ত বা কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া কেউ সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন না বলে জানিয়েছে সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এমনকি এই নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেশটিতে প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টা আগে ইস্যুকৃত হতে হবে।

এছাড়া ব্যতিক্রমী কিছু ক্ষেত্রে যেমন সরকারি, সেনাবাহিনী এবং বিদেশি দূতাবাসের কর্মী এবং চিকিৎসাসেবা গ্রহণের প্রয়োজন এমন লোকজনও মঙ্গলবার থেকে সৌদিতে প্রবেশ এবং সৌদি থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করতে পারবেন।

টিটিএন/এমকেএইচ