করোনা জয় করেছে আড়াই কোটির বেশি মানুষ
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রভাবে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ধস নেমে এসেছে। লাখ লাখ মানুষের প্রাণ নিয়েও ক্ষান্ত হচ্ছে না এই ভাইরাস। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি।
তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই করোনার বেশ কিছু ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। করোনা থেকে বাঁচতে সারাবিশ্বের মানুষ ভ্যাকসিনের দিকেই চেয়ে আছে।
এদিকে, নানা রকম খারাপ খবরের মধ্যেও আশার খবর হচ্ছে কয়েক কোটি মানুষ ইতোমধ্যেই করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই এখন সুস্থ।
সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৯ হাজার ৭২৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ কোটি ৫৮ লাখ ৬ হাজার ১৪৭ জন। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯ লাখ ১৯ হাজার ৭১৮ জন।
এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, পেরু, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, আর্জেন্টিনা, চিলি, ইরান, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ, সৌদি আরব, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইতালি, ইরাক, জার্মানি, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া।
তবে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছেও নেই কোনো দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪২১ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৬২ জন।
সংক্রমণে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯৮৪। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭৭ হাজার ৫০৬ জনের এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৬ লাখ ২৪ হাজার ১৯৬ জন।
ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৫ জন।
এদিকে, রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৩৬৫ জনের এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮ লাখ ৬৮ হাজার ১০৭ জন।
অপরদিকে পেরুতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ১৬ হাজার ৬৭০। সেখানে কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজার ৪৭০ জনের এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ২১৪ জন।
টিটিএন/এমএস