লাদাখ সীমান্তের পাশে নতুন তিনটি রানওয়ে তৈরি করছে চীন
লাদাখ অঞ্চলে ভারত-চীন সীমানা নির্ধারণকারী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) কাছে অন্তত তিনটি নতুন রানওয়ে তৈরি করছে চীন। সামরিক সূত্রের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম এমন খবর জানিয়ে বলছে, পরিস্থিতি সামলাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীও উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও কমান্ডো বাহিনী পাঠাচ্ছে লাদাখে।
সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার লিখেছে, চীনের হোটান বিমানঘাঁটির কাছে রানওয়ে তিনটি তৈরির কাজ চলছে। সেখানে একটি বড় অস্ত্রাগারও নির্মাণ করছে চীনা সেনা। কারাকোরাম গিরিপথ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হোটান ঘাঁটি। সেখান থেকে লাদাখের প্যাংগং সো-র ফিঙ্গার ফোর এলাকার দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার।
এক সেনা কর্মকর্তার কথায়, ‘চীনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার স্তরে আলোচনা প্রায় ব্যর্থ। চীনের সেনাবাহিনী দখল করা এলাকা ছাড়তে রাজি নয়। বরং গত সপ্তাহে আমরা যে এলাকা দখল করেছি তা ছেড়ে যেতে আমাদের চাপ দিচ্ছে চীন। আমাদের ধারণা, আলোচনার আড়ালে চীন আসলে দ্রুত নির্মাণকার্য চালাচ্ছে।’
সামরিক সূত্রের বরাতে দৈনিকটি আরও লিখেছে, উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে কমান্ডো বাহিনীর চারটি ইউনিট লাদাখে পাঠাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাদের মধ্যে প্যারা কমান্ডোর ইউনিটও রয়েছে।
লাদাখের রাজনীতিক সাজ্জাদ হুসেন কার্গিলের মতে, ‘কোভিড-১৯ মহামারি আর সীমান্তে উত্তেজনার ফলে দ্বিমুখী চাপে পড়েছেন লাদাখবাসী। প্রতিদিনই সীমান্তে নতুন উত্তেজনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। নয়াদিল্লির উচিত কূটনৈতিক পথে দ্রুত উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করা।’
প্রসঙ্গত, চীনের সঙ্গে সীমান্তে নতুন করে যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে তা প্রশমনে রাজি হয়েছে ভারত ও চীন। দুই এশীয় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশীর মধ্যে জুন থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। এ নিয়ে বৈঠকও হয়েছে অনেকবার। সবশেষ প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকের পর শনিবার নয়াদিল্লি এমন কথা জানিয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী শুক্রবার মস্কোর বৈঠকের পর সীমান্ত অশান্ত করে তোলার দায় পুরোপুরি চীনের ওপর চাপিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিকে চীনের গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফ্যাং রাজনাথকে বলেছেন, ‘সীমান্তে বর্তমানে যে উত্তেজনা চলছে তার পুরো দায় দিল্লির।’
এসএ/পিআর