সেতুতে নগ্ন ভিডিও ধারণ, ভারতে ফ্রেঞ্চ তরুণী গ্রেফতার
ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের ঋষিকেশ শহরে প্রকাশ্যে নগ্ন হয়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করার দায়ে ফ্রান্সের এক তরুণীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। শহরটির পর্যটন ও তীর্থস্থান লক্ষ্মণ ঝুলা নামক সেতুতে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। খবর বিবিসির।
বিবিসি অনলাইনের রোববারের প্রতিবেদনে ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে জানানো হয়েছে, ভারতের ইন্টারনেট আইনের আওতায় তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তার। ভারতের ওই সেতুটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত।
গঙ্গা (বাংলাদেশে পদ্মা) নদীর ওপর নির্মিত ওই সেতুটি দেশটির একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। ঘটনার পর গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত ওই ফ্রেঞ্চ তরুণী জামিনে ছিলেন। গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, নিজের গহনা ব্যবসার জন্য প্রচারণামূলক ওই ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন তিনি।
গ্রেফতারের পর তরুণীকে যে থানায় নেয় হয়েছে তার প্রধান আরকে সাকলানি এএফপিকে বলেন, ‘ফ্রান্সে হয়তো এই কাজ করলে কেউ আপত্তি তুলতো না। কিন্তু ঋষিকেশ হলো একটি তীর্থস্থান এবং লক্ষ্মণ ঝুলা হলো এমন একটি স্থান, যেখান দিয়ে রাম, (হিন্দু দেবতা) তার ভাই লক্ষ্মণ ও স্ত্রী সীতা গঙ্গা পাড়ি দিয়েছিলেন।’
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই তরুণীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। ভিডিওটি সম্পর্কে অভিযোগ পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আরেক পুলিশ কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে ভিডিও ধারণ করার কথা স্বীকার করেছেন ওই তরুণী।’
তবে পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, ‘ভারতে যে এ ধরনের কাজ আইনত দণ্ডনীয় তা তিনি জানতেন না। আর এটা করেছেন নিজের গহনা ব্যবসার প্রচারের জন্য।’ বিবিসির জানিয়েছে, ভারতের আদালতে মামলা ঝুলে থাকার কারণে মামলাটি নিষ্পত্তি হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
এসএ/এমএস
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ অবলম্বনে নির্মিত নাটকে মমতার নিষেধাজ্ঞা
- ২ ট্রাম্পের এআই উপদেষ্টা হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষ্ণান
- ৩ বাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্য প্রতিবেশী দেশে বেচতে চায় আদানি
- ৪ নিউইয়র্কে পাতাল ট্রেনে নারীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা
- ৫ ইউক্রেনের একের পর এক গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার