ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

এবার যুক্তরাষ্ট্রেও একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার আক্রান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২০

এবার যুক্তরাষ্ট্রেও একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা এমন একজনকে খুঁজে পেয়েছেন যিনি দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ২৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি নেভাডার রেনো এলাকায় বসবাস করেন। গত এপ্রিলে তিনি প্রথমবার করোনায় আক্রান্ত হন। সে সময় তার দেহে করোনার মৃদু সংক্রমণ দেখা দেয়।

অপরদিকে, গত মে মাসের শেষের দিকে নতুন করে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এবার তার দেহে আগের চেয়ে আরও বেশি সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় যে, তিনি আবারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

ইউনিভার্সিটি অব নেভাডা, রেনো স্কুল অব মেডিসিন এবং নেভাডা স্টেট পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরির গবেষকরা ওই ব্যক্তির দ্বিতীয়বার সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, দু'বারের সংক্রমণে তার শরীরে আলাদা দু'টি ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

তবে তারা এটা জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই ভাইরাসে দ্বিতীয়বার সংক্রমণের ঘটনা বিরল। তবে এর আগে হংকংয়েও একই ব্যক্তির দ্বিতীয়বার আক্রান্তের ঘটনা সামনে এসেছে।

প্রায় সাড়ে চার মাস আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি। পরবর্তীতে আবারও তার মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ বিষয়ে সেখানকার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, অল্প কয়েক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ঘটনা এটি।

তারা বলেছেন, ভাইরাসের জিনগত সিকোয়েন্সিংয়ে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের দু'টি প্রজাতি পাওয়া গেছে; যা স্পষ্টতই ভিন্ন। হংকংয়ের এই ব্যক্তির ঘটনা বিশ্বে প্রথমবারের মতো পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হওয়ার নিশ্চিত প্রমাণ।

এদিকে, একই ব্যক্তির দু'বার সংক্রমণের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, একজন রোগীর ওপর ভিত্তি করে কোনও ধরনের সিদ্ধান্তে না পৌঁছানোই জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফের সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা বিরল হলেও গুরুতর নয়।

যারা করোনায় আক্রান্ত হন তাদের শরীরে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে; যা পুনরায় সংক্রমিত হওয়া থেকে তাদের রক্ষায় সহায়তা করে। তবে সবচেয়ে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের শরীরে শক্তিশালী প্রতিরোধ দেখা গেছে।

তবে এই সুরক্ষা অথবা ইমিউনিটি কতদিন টিকে থাকতে পারে তা এখনও পরিষ্কার নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এ বিষয়ে আরও বেশি জানতে আগে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন।

টিটিএন/এমএস