প্লাজমা থেরাপি নিয়ে সতর্ক করলো ডব্লিউএইচও
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুস্থ হলে তাদের শরীর থেকে নেয়া রক্তরসের মাধ্যমে আক্রান্ত অন্য রোগীর চিকিৎসা করার পদ্ধতি অর্থাৎ প্লাজমা থেরাপি নিয়ে সতর্ক করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্র থেরাপিটির অনুমোদন দেয়ার দিনই সংস্থাটি জানিয়েছে, এর কার্যকারিতা যে ‘একেবারেই কম’ তার প্রমাণ আছে তাদের কাছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের রোববারের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, এখন নয়, দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে কথিত প্লাজমা থেরাপি নামে এই চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহার চলে আসছে। সবশেষ কোভিড-১৯ এর জন্য চিকিৎসা পদ্ধতির খোঁজে চলমান রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে সবশেষ এই থেরাপির উত্থান।
বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের চাপে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে জরুরি ব্যবহারের জন্য প্লাজমা থেরাপির অনুমোদন দেয়। ফলে এখন থেকে দেশটিতে করোনা রোগীদের দেহে সুস্থ অন্য কোভিড-১৯ রোগীর প্লাজমা দেয়া যাবে।
ডব্লিউএইচও এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথম বলেছেন, অল্প কিছু ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে যে করোনায় প্লাজমা থেরাপি ফল আনতে পারে। আর সেই ফল আসলেও তার ইতিবাচকতা খুবই কম। অন্তত এ পর্যন্ত হাতে আসা প্রমাণ অনুযায়ী এটার ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার মতো যথেষ্ট কোনো কারণ নেই।
রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে, এখনও খুব অল্প কিছু প্রমাণ এসেছে আমাদের হাতে। ফলে প্লাজমা থেরাপি যে এখনও করোনায় একটি পরীক্ষামূলক চিকিৎসা পদ্ধতি, আমরা তেমন নির্দেশনা দিতে চাই। করোনায় এর কোনো কার্যকারিতা মূল্যায়নে আরও ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে।’
তবে প্লাজমা থেরাপি নিয়ে বিজ্ঞানীরা দ্বিধান্বিত। কেননা চীনা এক গবেষণায় দেখা গেছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীকে থেরাপিটি দেয়া হলেও তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আরেক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, প্লাজমা থেরাপির ফলে কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি কিছুটা হলেও কমে।
এসএ