মার্চের পর ‘সফল’ দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ
করোনার রেকর্ড সংক্রমণে উদ্বিগ্ন দক্ষিণ কোরিয়া। গত মার্চের শুরুর দিককার পর রোববার দেশটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাজধানী সিউলের একটি গির্জাসহ আরও বেশ স্থান থেকে গুচ্ছ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর সরকার করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধগুলো কঠোর করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (কেসিডিসি) বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৩৯৭ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন; যা শুক্রবারের ৩৩২ জনের চেয়ে বেশি। টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশটিতে তিন সংখ্যায় সংক্রমণ বাড়ছে।
কেসিডিসি জানিয়েছে, এ নিয়ে দেশে মোট করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৯৯ জনে। ইতোমধ্যে করোনায় সংক্রমিতদের ৩০৯ জন মারা গেছেন। প্রসঙ্গত, করোনা প্রতিরোধে সফল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু সংক্রমণের এমন রেকর্ডের পর তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
ফলে রোববার থেকে রাজধানী সিউলসহ দেশের অন্যান্য স্থানে দ্বিতীয় পর্যায়ের সামাজিক দূরত্বসংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি করেছে। ফলে গির্জায় কেউ মিলিত হতে পারবে না এবং বন্ধ থাকবে নাইট ক্লাব, বুফে রেস্তোরাঁ এবং সাইবার ক্যাফে। এ ছাড়া করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থবিধি মেনে চলার নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, যদি নতুন করে করোনার এই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ শিগগিরই না কমে তাহলে এর বিস্তার রোধে তৃতীয় ধাপের কঠোর সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবা হচ্ছে। তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধগুলো জারি হলে স্কুল ও ব্যবসাকেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেবে সরকার।
এসএ/এমকেএইচ