ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

‘অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ভালো ডেটা আসছে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৩৬ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২০

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, তাদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ভালো ডেটা আসছে। নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিনের বৃহৎ পরিসরে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে।

ব্রিটেনের সবচেয়ে দামি এই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাসকেল সোরিওট বলেন, ভ্যাকসিন তৈরির কাজ ভালোভাবেই চলছে। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ভালো ডেটা এসেছে। আমাদের ক্লিনিক্যাল প্রোগ্রামে কার্যকারিতা দেখাতে হবে। এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিক আছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন চ্যাডক্স১এনকোভ-১৯ তৈরি করছে ব্রিটিশ এই কোম্পানি। ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটির ২০০ কোটিরও বেশি ডোজ উৎপাদনের জন্য বেশ কয়েকটি দেশের চুক্তিতে পৌঁছেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ব্রিটিশ এই কোম্পানি বলছে, চলতি বছরের শেষ দিকে ভ্যাকসিনটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে পারে।

কয়েক মাস ধরে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। কোম্পানিটির ব্যস্ততার মূলে ছিল- করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি, সরকারের বিলিয়ন ডলারের তহবিল গ্রহণ, ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার শেয়ারের দাম বাড়তে শুরু করে। জুন পর্যন্ত গত তিন মাসে ব্রিটিশ এই কোম্পানি ৬ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিক্রি করেছে।

ক্যান্সারের ওষুধ ট্যাগরিসোর পাশাপাশি হার্ট, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগের নতুন নতুন ওষুধের বিক্রিও বেড়েছে কোম্পানিটির। ফলে টানা তৃতীয় বছরের মতো অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।

করোনাভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত অনুমোদন পায়নি। তবে করোনা মহামারি মোকাবিলায় অন্যান্য ভ্যাকসিনের চেয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার ভ্যাকসিন চ্যাডক্স১এনকোভ-১৯ কে এগিয়ে রাখছেন বিজ্ঞানীরা। প্রথম ধাপের পরীক্ষায় ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং মানবদেহে করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জাগিয়ে তুলতে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর তা বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৭২ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।

এসআইএস/এমএস