ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ্ন’ জার্মানি
ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় জার্মানিতে করোনায় প্রাণহানি কিছুটা কম। প্রাদুর্ভাব শুরুর প্রথম দিকে আক্রান্ত বাড়লেও বেশিরভাগ রোগী এখন সুস্থ। তবে সম্প্রতি আক্রান্ত বাড়ছে। জার্মানির জনস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী এই সংক্রমণ নিয়ে তিনি ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। খবর বিবিসির।
দেশটির জনস্বাস্থ্য সংস্থা রবার্ট কচ ইনস্টিটিউটের (আরকেআই) প্রধান লোথার উইলার মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ক্রমবর্ধমান এক মহামারির মাঝ পর্যায়ে রয়েছি আমরা।’ জার্মানরা স্বাস্থ্যবিধি ‘অবহেলা’ করছে জানিয়ে সবাইকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি মানাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।’
আরকেআই প্রধান বলেছেন, জার্মানদের অবশ্যই স্বাস্থ্য ও দূরত্ব সংক্রান্ত বিধি-ব্যবস্থাগুলো অনুসরণ করে আবারও দ্রুত এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিস্তার ছড়ানো এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও জানি না যে এটা সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গের সূচনা কিনা তবে অবশ্যই তা হতে পারে। তবে আমি আশাবাদী যে আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলি তবে আমরা এটা প্রতিরোধ করতে পারবো। বিষয়টা এখন আমাদের উপর নির্ভর করছে।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত সপ্তাহে জার্মানিতে নতুন করে আরও ৩ হাজার ৬১১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ইউরোপের দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই জার্মানির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করলেন।
জার্মানিতে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার প্রায়। শীর্ষ আক্রান্তে বাংলাদেশেরও দুই ধাপ পেছনে থাকা এই দেশটিতে ৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ১ লাখ ৯১ হাজারের বেশি এখন সুস্থ।
মঙ্গলবার জার্মান কর্তৃপক্ষ স্পেনের তিনটি অঞ্চল—আরাগন, কাতালোনিয়া এবং নাভারার জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে। এসব এলাকায় সম্প্রতি সংক্রমণ বাড়ছে। স্পেনের নাগরিকরা যুক্তরাজ্যে আসলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে ব্রিটিশ সরকারের এমন ঘোষণার পর জার্মানি ওই ঘোষণা দেয়।
পর্যটনের এই মৌসুমে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের এমন ভ্রমণ সতর্কতা জারির বিষয়টিকে অন্যায্য অভিহিত করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। তিনি বলছেন, ‘স্পেন নিরাপদ, স্পেনের বাসিন্দাদের জন্য এটি নিরাপদ, পর্যটকদের জন্যও এটি নিরাপদ।’
এসএ