ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ২৮ জুলাই ২০২০

অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন মানদেহে প্রয়োগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথভাবে তৈরি কোভিড -১৯য়ের এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে তৃতীয় অর্থাৎ চূড়ান্ত দফায় পরীক্ষা চালানো হবে।

সেজন্য ভারতের পাঁচটি ক্লিনিক্যাল সাইট ইতোমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বায়োটেকনোলজি বিভাগের সেক্রেটারি রেনু স্বরূপ। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, এই ক্লিনিক্যাল সাইট তৈরি রাখা অপরিহার্য কারণ ভারতীয়দের এই ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত করে রাখা জরুরি।

এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াকে বেছে নিয়েছে অক্সফোর্ড এবং এর সহযোগী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এখন পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন প্রথম দুটি পর্যায়ে মানবদেহে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং এর ফলাফল বেশ সন্তোষজনক।

রেনু স্বরূপের মতে, বায়োটেকনোলজি বিভাগ ভারতে যে কোনও কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন তৈরি ও পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অপরিহার্য অংশ। তিনি বলেন, এর কাজ হলো ভ্যাকসিন তৈরির জন্য অর্থের জোগান রয়েছে কিনা, ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র পাচ্ছে কিনা বা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেটির পরীক্ষামূলক ব্যবহারে অনুমতি পাচ্ছে কিনা এসব দেখা।

তিনি বলেন, ভারতের বায়োটেকনোলজি বিভাগ এখন তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য ক্লিনিক্যাল সাইট স্থাপন করছে। আমরা ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত দেশে পাঁচটি সাইট তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

গত ২০ জুলাই বিজ্ঞানীরা ঘোষণা দেন যে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি মানবদেহে নিরাপদ এবং এটি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকরী হবে। এই টিকার মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রথম ধাপে দেখা গেছে এটি দেহের ভেতরে কঠোর প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম।

গবেষকরা দাবি করেছেন যে, এই ভ্যাকসিনের বড় ধরনের কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। বরং এটি শরীরে গিয়ে অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। তবে এর কিছু ছোটোখাটো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

টিটিএন/জেআইএম