ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কেনো যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়াচ্ছে সৌদি প্রিন্সরা?

প্রকাশিত: ১১:৩৮ এএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

সৌদি আরবের প্রিন্সদের বিরুদ্ধে একের পর এক কেলেঙ্কারি ও মাতাল জীবন-যাপনের অভিযোগ উঠছে। সোমবার বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যক্তিগত বিমানে দুই টন মাদকদ্রব্যসহ এক সৌদি যুবরাজকে আটক করেছে লেবানন পুলিশ।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গৃহকর্মী নিয়োগের প্রলোভনে তিন নারীকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন ও মাদকগ্রহণে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে সৌদির আরেক যুবরাজের বিরুদ্ধে। পরে অজ্ঞাতপরিচয়ের ওই তিন নারী গত বৃহস্পতিবার ২৯ বছর বয়সী মাজেদ আব্দুল আজিজ আহমেদ নামের সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। saudi

ভুক্তভোগী তিন নারীর অভিযোগ, প্রিন্স মাজেদ যুক্তরাষ্ট্রের বেভারলি হিলস ম্যানসনের বাসায় তাদেরকে গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন। গৃহকর্মী নিয়োগের কথা বলে তাদের বাসায় নিয়ে আসার পর আটকে রেখে নিয়মিত যৌন নির্যাতন চালাতেন।  একইসঙ্গে বিভিন্ন পার্টিতে তাদের মাদক গ্রহণেও বাধ্য করা হতো।

এ সময় গৃহকর্মীরা বাধা দিলে ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এবং পরে পাশবিক নির্যাতন চালাতেন এ প্রিন্স। একইসঙ্গে এ প্রিন্স গৃহকর্মীদের সুইমিং পুলে উলঙ্গ অবস্থায় নামিয়ে কোকেইন গ্রহণ করেতেন।  

গৃহকর্মীরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে প্রিন্স বলতেন, আমি যুবরাজ! আমার যা ইচ্ছে তাই করবো, কেউ আমার কোনো কিছু করতে পারবে না।

ওই নারীদের আইনজীবী ভ্যান ফরিশ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, প্রিন্স মাজেদ তার গৃহকর্মীদেরকে জনসম্মুখে যৌননির্যাতন চালাতো। সৌদি যুবরাজরা কেনো দিনে দিনে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ওই আইনজীবী বলেন, ক্ষমতা এবং সম্পদের অপব্যবহারের আরেকটি উদাহরণ এই যৌন নির্যাতনের ঘটনা।

তবে এ ঘটনার পর ওই সৌদি যুবরাজের আইনজীবীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

 এর আগে, সোমবার লেবাননে আবদুল আল মুহসেন নামে এক সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে দুই টন কেপ্টাগন পিল জব্দ করা হয়েছে। যুবরাজের সঙ্গী আরো চারজনকেও আটক করা হয়েছে। নিজের ব্যক্তিগত বিমানে ওই যুবরাজ সৌদি আরব যাচ্ছিলেন। লেবাননের আল মায়াদিন টিভি জানিয়েছে, ৪০টি প্যাকেটে দুই টন মাদক ওই যুবরাজের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি যুবরাজদের যৌন কেলেঙ্কারি এবং মাদকাসক্তির পেছনে দেশটির অঢেল সম্পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহারই অন্যতম কারণ বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। তাদের মতে, দ্রুত এ অবস্থার নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে সৌদি যুবরাজরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে।  সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এএফপি।

এসআইএস/এমএস