ফাহিম সালেহ হত্যার ঘটনায় একজন গ্রেফতার
রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ (৩৪) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। তবে এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
এর আগে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, তাদের ধারণা ফাহিম সালেহের হত্যাকারী কালো পোশাক এবং কালো মাস্ক পরেছিল।
নিউইয়র্কভিত্তিক গণমাধ্যম পিক্স এলিভেনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই হত্যাকারী ফাহিম সালেহকে অনুসরণ করে তার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেছিল।
ফাহিম সালেহকে আগে থেকেই ফলো করা হচ্ছিল বলে ধারণা করছে নিউইয়র্ক পুলিশ। তদন্তকারী কর্মকর্তারা ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছেন।
নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আশপাশের রাস্তা ও ভবনের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো খতিয়ে দেখা হবে।
নিউইয়র্ক পুলিশ ফাহিমের নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গত মঙ্গলবার বিকেলে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। তার হাত-পা, মাথা সবকিছু খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়েছিল।
তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা ফাহিমকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে মরদেহ স্যুটকেসে ভরে গুম করে ফেলার পরিকল্পনা ছিল খুনির। তবে পরে হয়তো অন্য পরিকল্পনা করে খুনি পালিয়ে যায়।
ফাহিম সালেহ গত বছর প্রায় সাড়ে ২২ লাখ ডলার দিয়ে ম্যানহাটনের ডাউনটাউনে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে জন্ম ফাহিমের। তার বাবা সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে আর মা নোয়াখালীর। ফাহিম পড়াশোনা করেছেন ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে। থাকতেন নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে। পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও নাইজেরিয়া এবং কলম্বিয়ায় এমন আরও দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানির মালিক ছিলেন তিনি।
টিটিএন/জেআইএম