ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনা ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণায় রুশ হ্যাকারদের হানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২০

নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণার তথ্য হাতিয়ে নিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হানা দেয়ার চেষ্টা করছে রাশিয়ার হ্যাকাররা। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা সেবা বিভাগের একদল কর্মী করোনা ভ্যাকসিন গবেষণায় রুশ হ্যাকারদের হানার চেষ্টার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) বলছে, এই হ্যাকাররা ‘প্রায় নিশ্চিতভাবেই’ রাশিয়ার গোয়েন্দা সেবা বিভাগের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্য চুরির চেষ্টা করতে ম্যালওয়ার ব্যবহার করছে হ্যাকাররা।

এনসিএসসি কর্মকর্তা পল চিচেস্টার বলেন, রুশ হ্যাকাররা নিন্দনীয় কাজ করছে।

এই সতর্ক বার্তা প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি দেশের নিরাপত্তা সেবা বিভাগ :

>> যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার
>> কানাডার কমিউনিকেশন সিকিউরিটি এস্টাব্লিশমেন্ট (সিএসই)
>> যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগের সাইবার-সুরক্ষা অবকাঠামো নিরাপত্তা সংস্থা (সিআইএসএ)
>> যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)

করোনা ভ্যাকসিন গবেষণার তথ্য হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় জড়িত হ্যাকারদের এই গ্রুপ এপিটি-২৯ নামে পরিচিত। এছাড়া এই গ্রুপটি ‘দ্য ডিউক’ এবং ‘কজি বিয়ার’ নামেও পরিচত।

হ্যাকাররা ঝুঁকিপূর্ণ কম্পিউটার সিস্টেমের অ্যাক্সেস পেতে সফ্টওয়্যার ত্রুটিগুলো কাজে লাগিয়েছে এবং ‘ওয়েলমেস (WellMess )’ ও ‘ওয়েলমেইল (WellMail)’ নামের দুটি ম্যালওয়ার ব্যবহার করেছে।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার বলছে, ২০২০ সাল জুড়েই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সংস্থাগুলোকে টার্গেট করেছে এপিটি২৯। কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন তৈরি ও পরীক্ষা সম্পর্কিত তথ্য এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি চুরির উদ্দেশেই তারা এটি করেছে।

তবে হ্যাকাররা করোনা ভ্যাকসিনের কোনও তথ্য হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

এসআইএস/জেআইএম