দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন রণতরী মোতায়েন, উত্তেজনা
দক্ষিণ চীন সাগরে দুটি কৃত্রিম দ্বীপের কাছে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী একটি ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। চীন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে যেকোনো ধরনের সমস্যা তৈরি করার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুবার ভাবা উচিত। একইসঙ্গে দ্রুত এটি চীন সাগর থেকে প্রত্যাহার করে নিতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
মার্কিন এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন নৌবাহিনী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস লাসেনকে ওই দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬ টা ৪০মিনিটের দিকে মার্কিন ওই ডেস্ট্রয়ারটি স্প্রাটলি দ্বীপে পাঠানো হয়। ওই কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ অভিযান শেষ হবে।
দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির বিষয়ে বেইজিং বলছে, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তারা এ দ্বীপ তৈরি করছে। তবে ওয়াশিংটনের দাবি, আন্তর্জাতিক পানি সীমায় ওই দ্বীপ তৈরি করা হচ্ছে এবং কৃত্রিম দ্বীপকে চীনের সার্বভৌম সীমানা বলে মেনে নেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের সুবি রিফের কাছাকাছি এলাকা দিয়ে চলাচল করেছে ইউএসএস লাসেন। বিতর্কিত এ এলাকায় শত শত পাহাড় ও দ্বীপ রয়েছে। স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জে প্রায় জনমানবশূন্য প্রবাল দ্বীপ, ডুবো পাহাড়ের নিচে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যাপক মজুদ রয়েছে। এ দ্বীপপুঞ্জটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত সমুদ্রপথের কাছে অবস্থিত। তাইওয়ান ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম এবং ব্রুনাই এ দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করে আসছে। একইসঙ্গে চীন ঐতিহাসিকভাবে ওই এলাকার ওপর নিজ সার্বভৌমত্ব দাবি করছে।
দ্বীপপুঞ্জটি নিয়ে যখন প্রতিবেশী দেশগুলো এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে চীনের টানাপোড়েন বাড়ছে তখনই সেখানে রণতরী মোতায়েন করলো যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ ঘটনা উত্তেজনা তৈরি করেছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা মার্কিন ডেস্ট্রয়ার লাসেনকে পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে ওই দ্বীপের কাছে মার্কিন রণতরী মোতায়েন অবৈধ উল্লেখ করে দ্রুত তা প্রত্যাহার করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এসআইএস/আরআইপি