‘করোনার প্রভাবে এইচআইভি-যক্ষ্মা-ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু বাড়তে পারে’
করোনাভাইরাস মহামারিতে ধুকতে থাকা দারিদ্র এবং মধ্যম-আয়ের দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোতে এইচআইভি, যক্ষ্মা এবং ম্যালেরিয়াজনিত মৃত্যু বাড়তে পারে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এসব রোগের চিকিৎসা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধির এই আশঙ্কা নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকদের এই গবেষণা মডেলে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে এই তিনটি রোগে মানুষের প্রাণহানি বাড়তে পারে যথাক্রমে ১০, ২০ এবং ৩৬ শতাংশ হারে। করোনাভাইরাস মহামারি এই মৃত্যুর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য, ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টিমেথি হ্যালেট বলেন, ম্যালেরিয়ার অত্যধিক প্রকোপ বৃদ্ধি ও যক্ষ্মা এবং এইচআইভির চিকিৎসায় স্বল্প মেয়াদে বাধাগ্রস্ত হলেও লাখ লাখ মানুষের জন্য বিপর্যয়র পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে; যারা এসব রোগের চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির ওপর নির্ভর করেন।
ল্যান্সেট গ্লোবাল হেলথ সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণায় গবেষকরা করোনাভাইরাস মহামারির সম্ভাব্য প্রভাব ও পরিস্থিতি নিয়ে একটি মডেল তৈরি করেছেন। এই মহামারির সবচেয়ে বেশি প্রভাব এইচআইভি রোগীদের ওপর পড়বে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এইডসের অ্যান্টিরিট্রোভাইরাল ওষুধের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেক রোগী এই ওষুধটি নেন।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের এইডস বিষয়ক সংস্থা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এইডসের ওষুধের মজুদ সঙ্কটের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ দেশ বলেছে, তারা ইতোমধ্যে অ্যান্টিরিট্রোভাইরাল ফুরিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।
ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মশারি বিতরণসহ ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে ম্যালেরিয়াবাহী মশার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ফলে এই রোগেও মানুষের মৃত্যু বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।
এসআইএস/এমকেএইচ