মাস্ক না পরায় দুপক্ষের মারামারি, বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে মেয়ের মৃত্যু
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক না থাকা শুধু অপরাধ নয়, চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়ও। এই মাস্ক পরা না পরা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়ায় দু’পক্ষ। এই সংঘাতে বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মেয়ের।
গত ৩ জুলাই ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলায় এই বর্বর ঘটনাটি ঘটে। তবে রোববার (১২ জুলাই) ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। কারণ, শনিবার (১১ জুলাই) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে মেয়েটি। এরপরেই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে আসে ঘটনাটি। এ ঘটনায় চার অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা হয়েয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত ৩ জুলাইয়ের কয়েকদিন আগে। ব্যক্তিগত কাজে ক্রান্তি ইয়ালামান্ডালা ওই যুবকদের এলাকায় গিয়েছিলেন। তখন তার মুখে মাস্ক ছিল না। ওই যুবকরা এ নিয়ে প্রশ্ন করতেই দু’পক্ষের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। তখনকার মতো পরিস্থিতি শান্ত হলেও বিবাদ পুরোপুরি মেটেনি। এরপর ৩ জুলাই সেই যুবকদেরই মাস্ক ছাড়া দেখতে পান ক্রান্তির এক আত্মীয়। পুরনো বিবাদের হিসাব মেলাতে এবার ক্রান্তি তাদের ওপর চড়াও হন। ‘মুখে মাস্ক নেই কেন’, এই প্রশ্ন তুলে রীতিমতো জেরা শুরু করেন। কথা কাটাকাটির থেকেই মুহূর্তে হাতাহাতি শুরু হয়। প্রকাশ্যেই মারামারিতে জড়ায় দু’পক্ষ।
বাবাকে বাঁচাতে তখন ছুটে যান ক্রান্তির মেয়ে, ফাতিমা। ক্রান্তিকে লাঠি দিয়ে মারতে এলে রুখে দাঁড়ান তার মেয়ে। কিন্তু লাঠির আঘাতে ফাতিমার মাথার গুরুতর চোট লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গুন্টুরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা এক সপ্তাহ পর শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
জেডএ/জেআইএম