জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ছে ইতালিতে
করোনাভাইরাসের বিস্তার বাড়তে থাকায় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়াতে যাচ্ছে ইতালি। আগামী ৩১ জুলাই দেশটিতে জরুরি অবস্থার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী গিসেপে কন্তে জানিয়েছেন যে, তার দেশে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়তে পারে। খবর রয়টার্সের।
গত বছরের জানুয়ারিতে ছয় মাসের জরুরি অবস্থা জারি করে ইতালি। গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার প্রকোপ ধরা পড়ে। এর কিছুদিন পর ইতালিতে দুই চীনা পর্যটকের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়।
সে কারণে জানুয়ারির শেষ দিক থেকেই দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তবে চলতি মাসে তা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনই জরুরি অবস্থা তুলে না নিয়ে সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ইতালি সরকার।
এদিকে, সম্প্রতি বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইতালি। গত সোমবার বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়া বিশেষ ফ্লাইটের ২১ যাত্রীর দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা গেছে।
সে কারণে রোমের ফিউমিসিনো ও মিলানের মালপেনসা বিমানবন্দরে অবতরণ করা ১৮২ বাংলাদেশির মধ্যে ১৬৭ জনকে সেখানে নামতে না দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে ইতালি।
বাংলাদেশের ফ্লাইটে করোনায় আক্রান্ত যাত্রী কীভাবে গেলো তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে ইতালির সংবাদমাধ্যমে। বলা হচ্ছে, টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে ওই যাত্রীরা ইতালি গেছেন।
গত দু’সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ভ্রমণকারী বিদেশি নাগরিকদের জন্যেও প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ইতালি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশসহ ১৩টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশেষ অর্ডিন্যান্সে স্বাক্ষর করেন ইতালীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরাঞ্জা।
ইতালির ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় পড়া দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, আর্মেনিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, বসনিয়া হার্জেগোভিনা, চিলি, কুয়েত, উত্তর মেসিডোনিয়া, মলদোভা, ওমান, পানামা, পেরু এবং ডমিনিকান রিপাবলিক।
টিটিএন/এমএস