ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মানবদেহে প্রয়োগে ফাইজারের ভ্যাকসিনের ইতিবাচক ফল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ০২ জুলাই ২০২০

মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি করোনার সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। বুধবার তারা সম্ভাব্য ওই ভ্যাকসিনটির ফল প্রকাশ করে জানিয়েছে, প্রাকৃতিকভাবে যারা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছে, তাদের চেয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মধ্যে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে।

ভ্যাকসিনটির প্রথম ক্লিনিক্যাল তথ্য ‘মেডআরএক্সআইভি’ সাময়িকীতে বুধবার প্রকাশ করা হয়। তবে তা এখনো কোনো ‘পিয়ার-রিভিউড জার্নালে’ প্রকাশিত হয়নি অর্থাৎ অন্যান্য বিজ্ঞানীদের দ্বারা এই ভ্যাকসিনটির গবেষণালব্ধ ফলাফল এখনো পুনঃনিরীক্ষণ করা হয়নি এবং কোন পর্যায়ের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আক্রান্ত হওয়া থেকে একজনকে সুরক্ষা দেবে সেটা এখনও অস্পষ্ট।

তবে ফাইজার যে ৪৫ জন মানুষের দেহে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের ফল প্রকাশ করায় অন্যান্য বিজ্ঞানীরা কোম্পানিটির প্রশংসা করে বলছে, প্রাথমিক পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ইতিবাচক ফল আসায় ভ্যাকসিনটি কার্যকর ও নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য বৃহৎ আকারে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর পথ তৈরি হয়েছে।

ট্রায়ালে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৪৫ জনকে ভ্যাকসিনের তিন ডোজ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১২ জন ১০ মাইক্রোগ্রাম ডোজ, ১২ জন ৩০ মাইক্রোগ্রাম, ১২ জন ১০০ মাইক্রোগ্রাম ডোজ পান। ৯ জনকে প্লাসেবো দেওয়া হয়। যারা ১০০ মাইক্রোগ্রাম ডোজ পেয়েছিলেন, তাদের অর্ধেকের ক্ষেত্রে জ্বর আসতে দেখা যায়। পরে দ্বিতীয় ডোজে তাদের মাত্রা কমানো হয়।

তিন সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ইনজেকশন পুশ করে দেখা গেছে, ১০ মাইক্রোগ্রাম ডোজ গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ, ৩০ মাইক্রোগ্রাম ডোজ গ্রহণকারীদের ৭৫ শতাংশের ক্ষেত্রে জ্বর আসে। অনেকের ক্ষেত্রে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে দেখা দেয়। তবে এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক কিছু নয়। এ জন্য কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি বা কারও মৃত্যুঝুঁকি তৈরি হয়নি।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় ওইসব মানুষের দেহে ভ্যাকসিনটির ডোজ দেওয়ার পর দেখা গেছে, তাদের রক্তে ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম অ্যান্টিবডির পরিমাণ বেড়ে গেছে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুস্থ হওয়ার পর তাদের রক্তে যে প্লাজমা তৈরি হয় তার চেয়েও এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে তৈরি হওয়া ভাইরাসরোধী অ্যান্টিবডির মাত্রা বেশি।

ফাইজার ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল রিসার্চ দলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম গ্রুবার বলেন, ‘আমার কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো, আমাদের কাছে এমন একটি ভ্যাকসিন রয়েছে যা নভেল করোনার সংক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সক্ষম হতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রে এবারের গ্রীষ্মেই এ পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করেছে ফাইজার। ফাইজার মোট চার ধরনের ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। এর মধ্যে বড় আকারের পরীক্ষার জন্য যেকোনো একটি সংস্করণ বেছে নেওয়া হবে।

এসএ/জেআইএম