মহামারির ধকল সামলে স্কুল খুলছে থাইল্যান্ড
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত মার্চের মাঝের দিকে বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছে থাইল্যান্ড। বুধবার থেকে বেশ কিছু বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে দেশটির স্কুল পুনরায় খুলছে।
সরকার বলছে, স্কুলে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ এবং শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় অস্থায়ী কুঠুরি তৈরি করা হবে। দেশটির রাজধানী ব্যাঙ্কক থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরাঞ্চলের স্যাম খোক স্কুলের অধ্যক্ষ চুচার্ট থিয়েংথ্যাম অতিরিক্ত পূর্ব-সতর্কতা হিসেবে স্কুল শুরুর আগে ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে ১৫ দিনের জন্য স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা স্কুলে পৌঁছালে শিক্ষকরা তাদের হাতে মাস্ক তুলে দেবেন। কারণ এটি পরা প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামূলক। অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ফেইস শিল্ড সরবরাহ করা হবে।
অধ্যক্ষ চুচার্ট থিয়েংথ্যাম বলেন, তাপমাত্রা পরিমাপ করে শিক্ষার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। পরে শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের কাছে স্বয়ংক্রিয় ফেসিয়াল স্ক্যানারের মাধ্যমে একটি বার্তা চলে যাবে।
শ্রেণিকক্ষের ভেতরে আলাদা কার্ডবোর্ড দিয়ে নির্বাচন কক্ষের ব্যালট বক্সের মতো বেষ্টনী তৈরি করা হবে। শিক্ষার্থীদের এক ডেস্ক থেকে অন্য ডেস্কের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষার্থী কানলায়া শ্রীমঙ্খল বলেন, বক্সের ভেতরে পড়তে আমার ভালো লাগে। এতে স্কুলে ফিরে আসাটাও আমার কাছে নিরাপদ মনে হচ্ছে।
চীনের উহান থেকে শুরু হওয়া মহামারি করোনাভাইরাসে থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৫৮ জন। গত ৩৭ দিন ধরে দেশটিতে করোনাভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফার ঝুঁকি এড়াতে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসায় বর্তমানে দেশটিতে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ শিথিল করে পানশালা, স্কুল, শপিং মল খোলার পাশাপাশি মেডিক্যাল-সহ কিছু কিছু সেবা খাতে বিদেশিদের ভ্রমণের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/এমএস