ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সহায়তার ১৪০ কোটি ডলারের চেক মৃতদের নামে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ২৬ জুন ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে যে অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে, তার মধ্যে অন্তত ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১৪০ কোটি মার্কিন ডলারের চেক গেছে মৃত ব্যক্তিদের নামে। ২০১৮-২০১৯ সালে ট্যাক্স দেয়া নাগরিকদের মধ্যে ‘করোনা স্টিমুলাস প্রোগ্রাম’-এর এই চেক ইস্যু করা হয়। ফলে ট্যাক্স দেয়ার পর যারা মারা গেছেন, তাদের নামেও চেক ইস্যু হয়েছে। বিস্তারিত পর্যালোচনার পর বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে ‘দ্য অ্যাকাউন্টেবিলিটি অফিস’ (জিএও)।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারিতে সাধারণ মানুষের মতো প্রশাসনের মধ্যেও এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। একারণেই কর্মহীনদের সহায়তায় সরাসরি চেক পাঠাতে গিয়ে এমন বিভ্রাট হয়েছে।

জানা যায়, এ বিষয়ে সবার আগে প্রশ্ন তুলেছিল দেশটির রাজস্ব বিভাগ (আইআরএস)। মহামারিতে বেকার হয়ে পড়া লোকদের অর্থসহায়তায় কংগ্রেসে যখন ‘কেয়ারস অ্যাক্ট’-এর খসড়া হচ্ছিল, তখনই আইআরএসের অধীনস্থ একটি সংস্থা জানিয়েছিল, মার্চ পর্যন্ত অনেক ট্যাক্সদাতার মৃত্যু হয়েছে। এমনকি এ তথ্য তারা মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়কেও জানিয়েছিল। কিন্তু সেসময় দেশটির অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমসহ হোয়াইট হাউসে জানানো হয়, আর্থিকভাবে হতাশায় পড়া লোকদের জন্য বরাদ্দ অর্থ দ্রুত ছাড়তে হবে।

jagonews24

এক্ষেত্রে ২০০৮ সালের মহামন্দার সময় অর্থ মন্ত্রণালয় এবং আইআরএস যেভাবে যৌথভাবে কাজ করেছিল, সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবারের অর্থ সহায়হতার চেক ইস্যু করা হয়।

করোনা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এ পর্যন্ত ১৬ কোটি মার্কিনির নামে ২৬৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের চেক ইস্যু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জিএও। তাদের দাবি, ইস্যু করা চেকের বেশিরভাগই ফেরত আসেনি কিংবা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। অ্যাকাউন্ট হোল্ডার মারা গেলে সেই চেক ব্যাংকে জমা হওয়ার কথা নয় কিংবা মৃত ব্যক্তির নামে ডাকযোগে চেক পাঠানো হলে সেগুলোও ফেরত আসার কথা।

এমন পরিস্থিতিতে প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে আইআরএস এবং অর্থ মন্ত্রণালয়। গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্টেবিলিটি অফিসের মতে, কেন্দ্রীয় প্রশাসন সতর্ক না হলে প্রণোদনা সহায়তার চেক প্রতারকদের হাতেও যেতে পারে।

সূত্র: এনবিসি

কেএএ/এমকেএইচ