ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কৃষ্ণাঙ্গ নারীর নামে হেডকোয়ার্টারের নাম পাল্টাচ্ছে নাসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ২৫ জুন ২০২০

শ্বেতাঙ্গ পুলিশের বর্বর নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ। জনগণের ক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র পুলিশে সংস্কার আনতে বাধ্য হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈশ্বিক জাতিগত অসমতা নিয়ে বিতর্কের কারণে ত্বক ফর্সা করার ক্রিম বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক হেলথকেয়ার কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন।

তবে দেশটির বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা)। সংস্থাটি তাদের হেডকোয়ার্টার বিল্ডিংয়ের নাম পরিবর্তন করে একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারীর নামে নামকরণের ঘোষণা দিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নাসার হেডকোয়ার্টার বিল্ডিংয়ের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিল্ডিংটির নাম রাখা হবে ‘মেরি উইলিয়াম জ্যাকসন’।

মেরি মার্কিন এই মহাকাশ সংস্থার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান-আমেরিকান নারী প্রকৌশলী। বুধবার সংস্থাটির প্রশাসক জিম ব্রিডেনস্টাইন এ ঘোষণা দেন।

’৫০-এর দশকে ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটনে অবস্থিত নাসার ল্যাংলে রিসার্চ সেন্টারে কর্মজীবন শুরু করেন মেরি জ্যাকসন।

এর আগে গতবছর নাসার এই প্রতিষ্ঠানটির আগের নাম পাল্টিয়ে নাম রাখা হয় ‘হিডেন ফিগারস ওয়ে’। মূলত নাসায় আগে যেসব আফ্রিকান-আমেরিকান নারী কর্মরত ছিলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই নাম রাখে নাসা।

তবে মহাকাশ সংস্থা নাসা এমন এক সময়ে তাদের হেডকোয়ার্টারের নাম পরিবর্তনের কথা জানাল, যখন মিসিসিপিতে অবস্থিত তাদের ‘স্টেনিস স্পেস সেন্টারের’ নাম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছিল বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থা। একই সময় জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দেশটিতে বৈষম্যমূলক বিভিন্ন স্মৃতিস্মম্ভ নামিয়ে ফেলার হিড়িক চলছে।

নাসার এই প্রতিষ্ঠানটির নাম রাখা হয়েছে মিসিসিপির দীর্ঘসময় ধরে সিনেটর থাকা জন সি.স্টেনিসের নামানুসারে। কঠোর জাতিবিদ্বেষী বলে পরিচিত এই সিনেটর।

এসআর/পিআর