স্পেনের সীমান্ত খুলল ইউরোপীয়দের জন্য
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দীর্ঘ তিন মাস ইউরোপে সবচেয়ে কঠোর লকডাউনের পর অবশেষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভুক্ত ছাড়াও শেনঝেন এলাকার দেশগুলো এবং ব্রিটিশ পর্যটকদের জন্য নিজেদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে স্পেন। আজ সোমবার থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটি।
এসব দেশের দর্শনার্থীদের স্পেনে পৌঁছানোর পর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে হবে না। তবে যেসব এলাকায় জনসমাগম বেশি সেসব এলাকায় সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা সম্ভব নয় বলে পরতে হবে মাস্ক। এদিকে ইউরোপের সব দেশ প্রবেশাধিকার পেলেও আপাতত পর্তুগালকে এই সুযোগ দেওয়া হয়নি।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশ আবার সচল হলেও প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো শানচেজ সতর্ক করেছেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না তা কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে।’ উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রকোপ কমলেও স্পেনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ৩২২ জন; ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ।
চীনের পর বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশে প্রথমদিকে করোনার প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে এর মধ্যে স্পেন অন্যতম। প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত ১৪ মার্চ দেশটি জরুরি অবস্থা জারি করে। কয়েক দফায় এর মেয়াদ বাড়ানোর কারণে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়ে। সংক্রমণ কমতে থাকলে ধীরে ধীরে তা শিথিল হতে শুরু করে।
স্পেন পর্যটন খাতের ওপর মারাত্মকভাবে নির্ভরশীল দেশ। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রতিবছর সাধারণত ৮ কোটি পর্যটক স্পেন ভ্রমণে যান। দেশটির মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ১২ শতাংশের বেশি আসে পর্যটন খাত থেকে। তাই সবার আগে সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়টি মাথায় ছিল সরকারের।
এছাড়া রোববার থেকে দেশের ভেতরেও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে স্প্যানিশদের অবাধ চলাফেরা আবার শুরু করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় অনেকেই ফের দূরে থাকা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন। রাজধানী মাদ্রিদের বিমানবন্দরগুলোতেও যাত্রীদের ভিড় করতে দেখা গেছে।
এসএ