ভারতে দুই মাসে বস্ত্র ও পোশাকখাতে রফতানি কমেছে ৭৩ শতাংশ
ভারতে গত দুই মাসে বস্ত্র ও পোশাকখাতে রফতানি ব্যাপকভাবে কমেছে। দেশটির শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক পরিসখ্যান বলছে, গত এপ্রিল ও মে মাসে ভারতে বস্ত্র ও পোশাকখাতে রফতানি কমেছে ৭৩ শতাংশ।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারতজুড়ে ঘোষণা করা হয় লকডাউন। এতে বন্ধ হয়ে যায় কলকারখানা। একই সঙ্গে সমস্যা দেখা দেয় পণ্য শিপমেন্টে। এসব মিলে দেশটির বস্ত্র ও পোশাকখাতের রফতানি আশঙ্কাজনক হারে কমেছে।
ভারতে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে বস্ত্র ও পোশাকখাতে রফতানি হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন মাকিন ডলার। যেখানে কি-না গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গত দুই মাসে বস্ত্রখাতে ৬৮ শতাংশ ও পোশাকখাতে ৭৮ শতাংশ রফতানি কমেছে। এই দুই মাসে বস্ত্র রফতানি হয়েছে ৯৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অপরদিকে পোশাক রফতানি হয়েছে ৬৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গুরুত্বপূর্ণ এই দুই খাতের রফতানি কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে তুলা চাষি, কারখানার শ্রমিক, স্পিনিং মিলের মালিক ও তাঁতশিল্প সংশ্লিষ্টদের ওপর। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ উপক্রম অসংখ্য মিল ও ফ্যাক্টরি।
ভারতের কটন টেক্সটাইল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস রাজগোপাল বলেছেন, ‘গত ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া দেশজুড়ে ৭০ দিনের লকডাউনের কারণে উৎপাদন ইউনিটগুলোর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পরিবহন, শিপমেন্ট ও কার্গো ক্লিয়ারিংয়ের কাজগুলোও এসময় স্থবির ছিল। ফলশ্রুতিতে অসংখ্য বাইরের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে যায়। আর এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বস্ত্র ও পোশাকখাতের রফতানিতে।’
এমন পরিস্থিতি ১৫-২০ শতাংশ দামে কমে গেছে তুলার সুতার। আর এর প্রভাব পড়েছে দেশটির স্পিনিং মিলগুলোতে। ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গতবছর তুলার সুতার রফতানির পরিমাণ ছিল এক হাজার ৭২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে আয় হয়েছে মাত্র ৬১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ, গত দুই মাসে তুলার সুতার রফতানি ৬৫ শতাংশ কমেছে।
সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্টস
এসআর/জেআইএম