ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

‘পরিস্থিতি খুবই গুরুতর’ ফের লকডাউনের পথে বেইজিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:০২ এএম, ১৭ জুন ২০২০

বৃহত্তম এক পাইকারি খাদ্যসামগ্রীর বাজার থেকে দ্বিতীয় দফায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের পর ‌‘যুদ্ধকালীন তৎপরতায়’ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে বেইজিং। আজও ২৭ জন শনাক্ত হওয়ার পর নগর কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘গত পাঁচ দিনে ১০৬ জন শনাক্ত হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই গুরুতর।’

সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে ৩০টি আবাসিক এলাকা পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইনডোর গেম ও বিনোদন কেন্দ্র। ট্যাক্সি পরিষেবা বন্ধ করে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে বেইজিং শিক্ষা কমিশন।

জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা চালু ও শপিংমল ও অফিসগুলোতে ফের তাপমাত্রা পরীক্ষা বিধি বহাল হয়েছে। বেইজিং থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে গেছেন এমন কারও করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তারা যেন অবিলম্বে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

দ্বিতীয় দফায় ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে নগর কর্তৃপক্ষ বেইজিংয়ের একাংশ ফের লকডাউন করেছে। যে বাজার থেকে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে গত শনিবার ওই বাজারটি বন্ধ করা হয়। এছাড়া বাজারটিতে গেছেন এমন সবাইকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং কর্তৃপক্ষ।

নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে এখন প্রতিদিন ৯০ হাজার জনের পরীক্ষা করা হচ্ছে শহরে। প্রতিটি বাজারে দোকান মালিক, ম্যানেজার ও কর্মচারীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া করোনা পরীক্ষা হবে সব ধরনের রেস্তোরাঁ কর্মী ও সরকারি ক্যান্টিনের কর্মীদের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেছেন, ‌‌‘গত সপ্তাহে বেইজিংয়ে সংক্রমণের নতুন একটি নতুন গুচ্ছের কথা জানায় চীন। যে শহরটিতে টানা ৫০ দিন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি সেখানে কয়েকদিনে শতাধিক সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই প্রাদুর্ভাবের উৎস ও এর মাত্রা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’

রাজধানীর বাইরে গুয়ানদং, লিয়াওনিং, হেবেই এবং সিচুয়ান প্রদেশেও নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে করোনা। এরমধ্যে গুয়ানদংয়ে ২১, হেবেইয়ে ৭, সিচুয়ানে এবং লিয়াওনিং ৩ জনের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ভাইরাসটির বিস্তারের শঙ্কা আরও বেড়েছে।

উহানে প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও সামগ্রিক ভাবে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছিল চীন। ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর জানুয়ারিতে বিশ্বে সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে ছিল দেশটি। কিন্তু উহানের বাইরে সংক্রমণ সেভাবে ছড়াতে না দিয়ে এখন দেশটি সংক্রমণে ১৯ ও মৃত্যুতে ১৮তম স্থানে রয়েছে।

এসএ