ব্রাজিলে একদিনে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় ৩৫ হাজার
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে লাতিন অঞ্চলের দেশ ব্রাজিলে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়ালো। এছাড়া গত একদিনে ব্রাজিলে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার জন।
দেশটির সরকারির কর্তৃপক্ষের দেওয়া সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, গতকাল নতুন করে রেকর্ড ১ হাজার ২৮২ জন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যুর পর মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৫ হাজার ২৪১ জন। করোনায় মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের এক লাখ ১৯ হাজারের পর বিশ্বে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ৩৪ হাজার ৯১৮ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে করোনায় সংক্রমিত মোট মানুষ এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ২৮ হাজার ৮৩৪ জনে। ব্রাজিলে চেয়ে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেশি যুক্তরাষ্ট্রে; ২২ লাখ ৮ হাজারের বেশি।
অথচ করোনা মহামারি প্রতিরোধে নেতৃত্বদানকারীর দেশটির সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়েরে কর্মকর্তারা বলছেন, ব্রাজিলের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারোর চিফ অব স্টাফ ওয়াল্টার বার্গা নেট্টো বলেছেন, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ব্রাজিল সরকারের করোনা মোকাবিলায় নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে অন্যতম ওয়াল্টার বার্গা নেট্টো দেশটির রাজধানী রিও ডি জেনিরোর কর্মাশিয়াল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বলেন, ‘একটা সংকট ছিল, আমরা শোকাহত পরিবারগুলো প্রতি সহানুভূতি জানাই, তবে এটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
ব্রাজিলসহ লাতিন অঞ্চলের দেশগুলোতে যেভাবে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে তাতে উদ্বেগ ও আশঙ্কা বাড়ছেই। চিলি, আর্জেন্টিনা, পেরু এবং কলম্বিয়ায় রেকর্ড সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। লাতিন আমেরিকা এখন করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
তবে অনেক দেশে সরকারগুলোর পর্যাপ্ত পরীক্ষা সক্ষমতা না থাকায় আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, সংক্রমণের প্রকৃত সংখ্যা রিপোর্ট হওয়ার চেয়ে বেশি। দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্বে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন। সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস এমন তথ্য দিয়ে বিশেষ করে এই দুই অঞ্চলের দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুসের দেহে ভাইরাসটি সংক্রমিত হচ্ছে। দশটি দেশে শনাক্ত সবচেয়ে বেশি; যেসব দেশের বেশিরভাগ দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকার।’
এসএ