ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ভারত করোনার পিকে পৌঁছাবে নভেম্বরে: গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:৫২ পিএম, ১৫ জুন ২০২০

ভারতে নভেল করোনাভাইরাসের পিক টাইমে পৌঁছাতে পারে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের দিকে। সেই সময় দেশটিতে করোনা রোগীদের জন্য চিকিৎসায় ঘাটতি দেখা দিতে পারে আইসিইউ-শয্যা ও ভেন্টিলেটর।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় সরকারি মেডিক্যাল গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) অপারেশনস রিসার্চ গ্রুপের এক গবেষণায় এই শঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৫ মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন জারি করায় ভারতে করোনার পিক টাইম ৩৪ থেকে ৭৬ দিন পিছিয়ে গেছে। এর ফলে সংক্রমণ কমেছে ৬৯ থেকে ৯৭ শতাংশ। লকডাউনের কারণে স্বাস্থ্য অবকাঠামো এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।

গবেষকদের দাবি, লকডাউন কার্যকর থাকলে পিকে পৌঁছাতে বিলম্ব হবে। এই সময়ের মধ্যে মহামারি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, পরীক্ষার সুবিধা বৃদ্ধি, আইসোলেশন, কন্টাক্ট ট্রেসিং ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাবে। ভ্যাকসিন সহজলভ্য না হওয়া পর্যন্ত ভারতে মহামারির প্রভাব হ্রাস করার প্রধান উপায় লকডাউন। লকডাউনের পরে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও ৬০ শতাংশ জোরদার করা হয়েছে। যে কারণে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসা স্থাপনার ঘাটতি হবে না।

গবেষকরা নভেম্বরের পর দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চিত্র কেমন আকার ধারণ করতে পারে সেব্যাপারে একটি পূর্বাভাষ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, নভেম্বরের পর প্রায় ৫ দশমিক ৪ মাস পর্যন্ত আইসোলেশন শয্যার অভাব দেখা দিতে পারে। আইসিইউয়ের শয্যার ঘাটতি থাকতে পারে ৪ দশমিক ৬ মাস এবং ভেন্টিলেটরের ঘাটতি হতে পারে ৩ দশমিক ৯ মাস।

ভারতীয় এই গবেষকরা বলছেন, জনস্বাস্থ্য অবকাঠামো ব্যবস্থা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব হলে ভারতে মহামারির প্রকোপ প্রশমন করা যেতে পারে।

সোমবার সকালে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৩২ হাজার ৪২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। টানা তৃতীয় দিনের মতো একদিনে ১১ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরও ৩২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যু ৯ হাজার ৫২০ জনে পৌঁছেছে।

সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

এসআইএস/পিআর