ভারতে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রেগুলোতেই হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা!
আগামী মাসেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্থগিত হওয়া উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা। তবে এই পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে। কেননা রাজ্যের স্কুলগুলো পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। আর করোনা মোকাবিলায় এসব স্কুলের অধিকাংশই কোয়ারেন্টাই কেন্দ্র হিসেবে করা হচ্ছে। একদিকে করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে পরীক্ষা না দিলে এক বছর পিছিয়ে যেতে হবে। এই নিয়ে টানাপড়েনে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে শিক্ষামহলের বক্তব্য, কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হওয়া স্কুলে পরীক্ষা নেয়ার অর্থ ছাত্র-ছাত্রীদের বিপদে ফেলা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ নতুন পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা ঘোষণা করেনি। স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুরনো কেন্দ্রেই স্থগিত থাকা তিনদিনের পরীক্ষা নেয়া হবে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ, পরিবর্তিত পরীক্ষার দিনগুলোতে নিয়মবিধি মেনে কাজ করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব থাকতে হবে অন্তত তিন ফুট।
রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ-র সাধারণ সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য্য জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যবস্থায় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ সোনার পাথরবাটির মতো। কারণ পরীক্ষা কেন্দ্রে দুটি বেঞ্চের মধ্যে তফাৎ দুই ইঞ্চিও থাকে না। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোকে কোনোভাবেই পরীক্ষাকেন্দ্র করা উচিত নয়। তা করলে ছাত্রছাত্রীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে।
করোনার কারণে দেশটিতে ২৩, ২৫ ও ২৭ মার্চের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত হয়েছিল। ঘোষণা করা হয়েছিল ২৯ জুন, ২ ও ৬ জুলাই স্থগিত থাকা ১৫টি বিষয়ের পরীক্ষা হবে। সেই ঘোষণা ছিল বর্ধিত লকডাউনের আগে। পরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ২৯ জুন পরীক্ষা হবে না। উচ্চমাধ্যমিকের নতুন তিনটি দিন হল ২, ৬ ও ৮ জুলাই।
তবে কোনো পরীক্ষা কেন্দ্রে ৮০ থেকে ১০০ জনের বেশি পরীক্ষা দিতে পারবে না। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখেই পরীক্ষা দিতে হবে সবাইকে।
এফআর