নতুন আক্রান্তদের ৫০% উপসর্গবিহীন, চিন্তায় সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্তদের ৫০ শতাংশই উপসর্গবিহীন। দেশটিতে একদিকে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তখন এই উপসর্গবিহীনরা চিন্তায় ফেলছে দেশটির সরকারকে। করোনা মোকাবিলায় গঠিত সিঙ্গাপুরের টাস্কফোর্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা লরেন্স ওং বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, উপসর্গযুক্ত একজন রোগীর সঙ্গে উপসর্গবিহীন রোগীও একজন পাওয়া যাচ্ছে। মূলত এ কারণেই আমাদের সবকিছু পুনরায় চালু করার পরিকল্পনাগুলো নিয়ে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।
মাত্র ৫৭ লাখ মানুষের এই দ্বীপ দেশটি এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনার ভয়াবহ প্রকোপ দেখছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ।
দুই মাসের লকডাউনের পর গত সপ্তাহে কিছু স্কুল এবং ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেয় সিঙ্গাপুর।লকডাউন শিথিল করা হলেও এখনও অনেকে বাসা থেকেই অফিস করছেন। ওং বলেন, আমরা কেন দ্রুত অর্থনীতি চালু করছি না, সেব্যাপারে লোকজন কথা বলছে।
তিনি বলেন, আমাদের আরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এখনও অ্যাসিম্পটোমেটিক রোগী রয়েছে; যারা কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়েছেন। কিন্তু আমরা তাদের শনাক্ত করতে পারছি না।
দেশটিতে কতসংখ্যক মানুষ এই ভাইরাসটিকে নীরবে বহন করছেন সেব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। তবে ওং বলেছেন, গত দুই সপ্তাহে দেশে ৬ হাজার ২৯৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন; যাদের বেশিরভাগই অভিবাসী শ্রমিক।
করোনার উৎপত্তিস্থল চীনেও উপসর্গবিহীন অন্তত ৩০০ রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। শরীরে কোনও উপসর্গ না দেখা দিলেও অন্যদের মাঝে নীরবে এই ভাইরাসটির বিস্তার ঘটিয়েছেন তারা। যদিও কিছু বিশেষজ্ঞ বলছে, অ্যাসিম্পটোমেটিক সংক্রমণ খুবই সাধারণ ঘটনা। কিন্তু দেশগুলোতে ভাইরাসটির নিয়ন্ত্রণের এই অ্যাসিম্পটোমেটিক বাহকরা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
সূত্র: রয়টার্স।
এসআইএস/পিআর