ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

লাদাখ সংকট মিটতে দেরি হবে: ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:২৭ এএম, ০৭ জুন ২০২০

লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে ভারত-চীনের মধ্যে শুরু হয়েছে সেনা পর্যায়ের আলোচনা। শনিবার দু’দেশের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হলেও কোনও ফলপ্রসূ খবর এখনো আসেনি। আর তা যে এত শিগগিরই আসবেও না, তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ভারত।

শনিবারের বৈঠকের পর ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেনা পর্যায়ে আলোচনার পাশাপাশি লাদাখ সংকট মেটাতে কূটনীতিক আলোচনাও প্রয়োজন। যেহেতু মাত্রই আলোচনা শুরু হয়েছে, তাই এ বিষয়ে কল্পনাপ্রসূত কিছু লেখা থেকে সংবাদমাধ্যমকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, ডোকলাম সীমান্ত সংকট সমাধানে দু’পক্ষের সময় লেগেছিল ৭৩ দিন। সেক্ষেত্রে লাদাখের ঘটনাতে অচলাবস্থা কাটাতে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।

India-1

সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি জানিয়েছে, বৈঠকে ভারত পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে, সীমান্তে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলবে। অতীতে সামরিক কৌশলের অংশ হিসেবেই সীমান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ রাখত ভারত। এ নিয়ে নয়াদিল্লির যুক্তি ছিল, যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকলে চীন এগিয়ে আসতে পারবে না। কিন্তু মোদি সরকারের আমলে সম্পূর্ণ ভিন্ন নীতিতে চলতে শুরু করেছে দেশটি। গোটা চীন সীমান্ত জুড়েই সড়ক-অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। লে থেকে দৌলতবাগ ওল্ডি পর্যন্ত ভারত যে সড়ক বানাচ্ছে তা নিয়েই মূলত দ্বন্দ্বের শুরু। ওই সড়ক তৈরি হলে কারাকোরাম পাস পর্যন্ত পৌঁছে চীনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে ভারতীয় বাহিনী। এতেই আপত্তি বেইজিংয়ের।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ওই সড়ক তৈরি বন্ধ করলেই ফিরে যাবে চীনা বাহিনী। কিন্তু স্বাধীন দেশ হিসেবে নিজেদের সীমান্তে যে কোনও অবকাঠামো তৈরির অধিকার রয়েছে ভারতের। ফলে কাজ বন্ধের সম্ভাবনা নেই। বৈঠকে চীনকে সেটাই বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

ফলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক শিবির উভয় পক্ষই মনে করছে— লাদাখ সীমান্তে দুই দেশেরই সেনা সমাবেশ থাকবে। আর তাই, একদিনে যে সমস্যার সমাধান হবে না তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

কেএএ/পিআর