জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করা হয়েছে : ময়নাতদন্ত
জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করা হয়েছে। এক ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তার মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশের নির্যাতনের পর তার মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকা। খবর বিবিসি।
গত ২৫ মে জর্জ ফ্লয়েডকে নিরস্ত্র অবস্থায় নির্যাতনের পর তার মৃত্যু হয়। তাকে পুলিশের নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিও প্রকাশ হতেই বিক্ষোভ দানা বাঁধে যুক্তরাষ্ট্রে।
ঘাড়ে ও পিঠে ক্রমাগত হাঁটু দিয়ে চাপ দিয়ে রাখার কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড। মিনিয়াপলিসের এক পুলিশ কর্মকর্তা ফ্লয়েডকে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে তার ঘাড় চেপে ধরেন। আট মিনিটের বেশি সময় ধরে এভাবে হাঁটুর চাপে শ্বাসরোধে মৃত্যু হয় ফ্লয়েডের। ময়নাতদন্তের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে এমনটাই জানিয়েছেন জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের আইনজীবী বেন ক্রাম্প।
তিনি জানান, ঘাড়ের উপর ক্রমাগত হাঁটুর চাপ পড়ায় মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফ্লয়েডের। একই সঙ্গে তার ওপর পুলিশ কর্মকর্তা চেপে বসে থাকায় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তার। বার বার আকুতি জানিয়েছিলেন তিনি। নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না বলে কাতর কণ্ঠে জানিয়েছিলেন ফ্লয়েড। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তার মন গলেনি তাতে।
পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের হাঁটুর চাপে ফ্লয়েডের মৃত্যু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাকি তিন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জর্জের পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন, বাকি তিন পুলিশ কর্মকর্তাকেও গ্রেফতার করার দাবি জানানো হয়েছে।
বেন ক্রাম্প জানান, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের উপর ভরসা পাওয়া যাচ্ছিল না। ময়নাতদন্তের সরকারি রিপোর্ট নিয়ে তাদের সন্দেহ ছিল। সে কারণে জর্জের পরিবার আলাদা করে বেসরকারিভাবে ময়নাতদন্ত করিয়েছেন।
টিটিএন/জেআইএম
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ রাশিয়ার পক্ষে ছিলেন ম্যারকেল, করেছিলেন ন্যাটোতে ইউক্রেনের বিরোধিতাও
- ২ সংক্ষিপ্ত বিশ্ব সংবাদ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪
- ৩ তুরস্কে গুলি চালিয়ে ৭ জনকে হত্যার পর হামলাকারীর আত্মহত্যা
- ৪ কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ বাংলাদেশি পর্যটকদের
- ৫ যুক্তরাষ্ট্রের সমন জারির পর এবার ভারতের আদালতে আদানির বিরুদ্ধে মামলা