করোনায় আক্রান্ত ছাড়াল অর্ধকোটি
বিশ্বকে এক মহাবিপর্যয়ের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। প্রতিনিয়ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। পৃথিবীর প্রতি কোণায় ছড়িয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। সবশেষ হিসাব বলছে, কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা এখন অর্ধকোটিরও বেশি।
করোনা মহামারির সার্বক্ষণিক তথ্য প্রকাশকারী মার্কিন ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস ডট ইনফোর সবশেষ তথ্য অনুসারে, নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি এখন। আক্রান্তদের মধ্যে সোয়া তিন লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
করোনায় বিপর্যস্ত দেশগুলোর মধ্যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৩ হাজার ৫০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৬১ হাজার।
চীনে প্রাদুর্ভাব হলেও বিপর্যস্ত দেশের তালিকার অধিকাংশ দেশ ইউরোপের। তবে প্রাথমিকভাবে সংক্রমণ ততটা দেখা না দিলেও সম্প্রতি ওই মহাদেশে অবস্থিত দেশ রাশিয়ার অবস্থা নাজেহাল। বাকি সবাইকে টপকে এখন রাশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত।
তবে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুতে দ্বিতীয় স্থানটি যুক্তরাজ্যের। সেখানে আক্রান্ত প্রায় আড়াই লাখ মানুষের মধ্যে ৩৫ হাজারের বেশি মারা গেছে। এছাড়া তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ ৮০ হাজার প্রায়। এদিকে ব্রাজিলে আক্রান্ত বেড়ে এখন ২ লাখ ৭১ হাজার ছাড়িয়েছে।
প্রতিবেশী ভারতের করোনার সংক্রমণ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে রেকর্ড সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। এ নিয়ে ভারতে আক্রান্ত ১ লাখ ৮ হাজারের মধ্যে ৩ হাজার ৩১৬ জন মারা গেছে।
আক্রান্তের দিকে দিয়ে শীর্ষে দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স জার্মানি, তুরস্ক, ইরান ও পেরুও রয়েছে। ব্রাজিলে খুব দ্রুত ১৮ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে করোনায়। এছাড়া কানাডায় ৮০ হাজার আক্রান্তের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার ইতোমধ্যে মারা গেছেন। আক্রান্ত অনেকটা বেড়েছে সৌদি আরবেও।
তবে ইউরোপে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর মৃত্যুহার (সিএফআর) সবচেয়ে বেশি। গড়ে প্রতি একশ জনে ১৫ দশমিক ২ নিয়ে ফ্রান্সে তা সর্বোচ্চ। যথাক্রমে যুক্তরাজ্যে ১৪ দশমিক ৪, ইতালিতে ১৪, স্পেনে তা ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুহার ৬ শতাংশ।
বিপরীতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এই অঞ্চলে করোনায় মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি আমাদের প্রতিবেশী ভারতে; ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া পাকিস্তানে ২ দশমিক ২, বাংলাদেশে ১ দশমিক ৫ এবং শ্রীলঙ্কায় কোভিড-১৯ এ মুত্যুহার ১ শতাংশ।
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা কেউ জানে না। বিশ্ব অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত এবং ভাইরাসটির সংক্রমণে আক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকোপ কিছুটা কমেছে।
এরমধ্যে আশার খবর, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে ১৯ লাখ ৮০ হাজারের বেশি সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্ত বেশি হওয়ায় সুস্থতার হারও যুক্তরাষ্ট্রে বেশি;৩ লাখ ৬১ হাজার। জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৭৮ হাজারের মধ্যে ১ লাখ ৪৫৭ হাজার সুস্থ। স্পেনে এই সংখ্যাটা ১ লাখ ৯৭ হাজার
এসএ/এমএস