কলকাতায় প্রশ্ন নিয়েই চালু গণপরিবহন
কলকাতা করোনার রেড জোন হলেও চলছে সরকারি বাস। নিয়ন্ত্রিতভাবে গণপরিবহন চালুর দাবি মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। ফতে করোনা সংক্রমণের সময় এটি কতটা নিরাপদ হবে তা প্রশ্নও উঠেছে।
লকডাউনের বিধি অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে ভারতের গণপরিবহন৷ দেশজুড়ে বন্ধ রয়েছে রেল চলাচল। পশ্চিমবঙ্গেও চলছে না ট্রেন। রাস্তায় হাতে গোনা বাস দেখা যাচ্ছে। এ সপ্তাহ থেকে সীমিত সংখ্যায় দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ট্রেন পরিষেবা যেমন শুরু হয়েছে, তেমন কলকাতায় শুরু হয়েছে বাস চলাচলও। যদিও পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী রেড জোনে রয়েছে। তবু বেশ কিছুদিন ধরেই দাবি উঠছিল, এবার কম সংখ্যায় হলেও সরকারি পরিবহন চালু হোক। লকডাউনে অনেকের রুটি-রুজিতে টান পড়েছে। বহু মানুষ প্রয়োজন থাকলেও গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। সেই দাবি মেনে ১৩ রুটে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সবটাই সরকারি বাস।
প্রতিটি বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী নেয়া যাবে না বলে স্থির করেছে প্রশাসন। কন্ডাক্টর ও চালক গ্লাভস, মাস্ক পরছেন। তাদের স্যানিটাইজ করা হচ্ছে সফর শুরু হওয়ার আগে। যাদের না বের হলেই নয়, তারাই শুধু বাইরে বের হচ্ছেন। তাই বাসে বেশি ভিড় হচ্ছে না। যদিও বুধবার কলকাতা শহরে এমন দৃশ্যও দেখা গেছে, একটি বাসে বেশ ভিড়। সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। বাসের ভেতর পাশাপাশি বসে এবং দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা। এ ছবি চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে। চালক ও কন্ডাক্টরদের বক্তব্য, যাত্রীরা জোর করে উঠে পড়েছেন বাসে। অথচ বাসের গায়েই পোস্টার লাগানো আছে, ২০ জনের বেশি ওঠা যাবে না।
এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চালক-হেলপারদের কথা না শুনে ২০ জনের বেশি কেউ জোর করে বাসে উঠলে কী করা হবে, তা পরিবহন দফতর ঠিক করবে। আগে আমরা করোনা থেকে বাঁচি। জীবনের চেয়ে বড় কিছু নয়।
এদিকে, আগামী সপ্তাহ থেকে বেসরকারি বাস কলকাতার রাস্তায় নামবে। সাত হাজার বেসরকারি বাস চলে কলকাতায়। রাজ্যে এ সংখ্যা ৪৫ হাজার। বুধবার পাঁচটি বাস সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সর্বাধিক ২০ জন যাত্রী তোলার নির্দেশ থাকায় চালু ভাড়ায় বাস চালিয়ে আর্থিক ক্ষতি হবে মালিকদের। তাই তাদের উপর ভাড়া নির্ধারণের ভার ছেড়ে দিয়েছেন মন্ত্রী।
এএইচ/এমএস