বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের অশনিসঙ্কেত
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া প্রবল নিম্নচাপ শনিবার নাগাদ শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে। আগামী রোববার অথবা সোমবার নাগাদ তা আছড়ে পড়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।
নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর তা ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে, এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ অথবা মিয়ানমারের দিকেও ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
তবে এখনই এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা। শনিবারের পর চিত্রটা আরও স্পষ্ট হতে পারে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বৈশাখ মাসের শুরু থেকে একের পর এক ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি মাঝে মাঝেই হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, বঙ্গোপসাগর-আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর তা ক্রমশই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে প্রভাব বিস্তার করবে। আগামী ১৫মে অর্থাৎ শনিবার তা আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার অবস্থায় পৌঁছে যাবে।
এর পর দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপরে অবস্থান হতে পারে ঘূর্ণিঝড়টির। শক্তি আরও বাড়িয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী হয়ে তা উপকূলের দিকে এগোবে। এর পর, রোববার অথবা সোমবার ঘূর্ণিঝড়টি গতি বাড়ানোর পর, উত্তর-পূর্বমুখী হয়ে আছড়ে পড়তে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়। ফলে বাংলাদেশ অথবা মিয়ানমারের দিকেও আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আছড়ে পড়েছিল সুন্দরবন এলাকায়। তবে নতুন ঘূর্ণিঝড় কতটা গতি নিয়ে, কোনও এলাকায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এসআইএস/এমএস