বোয়িংয়ের বিমান ডেলিভারি কমে ১১ বছরে সর্বনিম্ন
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত মাসে দু’টি বড় ধাক্কা খেয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিমান নিমার্তা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। একদিকে নতুন বিমান ডেলিভারি প্রায় বন্ধই হয়ে গেছে, তার ওপর অর্ডার বাতিল বেড়েছে অভূতপূর্ব হারে।
এপ্রিল মাসে মাত্র ছয়টি বিমান ডেলিভারি দিয়েছে বোয়িং। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিতে এর আগে ডেলিভারিতে এত বড় বিপর্যয় শেষবার ঘটেছিল ২০০৮ সালে। তবে সেবারের কারণ ছিল কর্মী ধর্মঘট, আর এবার করোনা মহামারি।
বিমান ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক ব্যবস্থায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডেলিভারির পরেই মূলত ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশিরভাগ অর্থ পায় তারা।
ইতোমধ্যেই বছরের প্রথম প্রান্তিকে (প্রথম তিন মাস) প্রায় ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির কথা জানিয়েছে বোয়িং। অর্থ বাঁচাতে অন্তত ১৬ হাজার কর্মী ছাটাইয়ের পরিকল্পনা করছে তারা।
পরপর দু’টি বড় দুর্ঘটনার পর ২০১৯ সালের মার্চ থেকে বোয়িং তাদের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। তবে অন্য বিমান উৎপাদন চলছিল যথারীতি এবং ৭৩৭ ম্যাক্স উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পরেও মাসে অন্তত ২৪টি বিমান ডেলিভারি দিচ্ছিল তারা। এরপরই হানা দেয় করোনাভাইরাস।
এক কর্মী করোনায় মারা যাওয়ার পর গত ২৩ মার্চ ওয়াশিংটন কারখানা বন্ধ করে দেয় বোয়িং কর্তৃপক্ষ। ৮ এপ্রিল থেকে বন্ধ হয় দক্ষিণ ক্যারোলিনার কারখানাও, অবশ্য একমাস পরেই আবার উৎপাদন শুরু করে তারা। তবে চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদনের গতি অনেকটাই কমিয়ে দিতে হয়েছে বিশ্বের জনপ্রিয় এই বিমান নিমার্তাদের।
সূত্র: সিএনএন
কেএএ/জেআইএম