ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনায় জার্মানিতে ফ্রি বিয়ার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:১২ এএম, ১১ মে ২০২০

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই। রেস্তোরাঁ ও হোটেলসহ অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর ব্যতিক্রম হয়নি জার্মানিতেও।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো করোনায় বিপদে পড়েছে জার্মানির বিয়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। হাজার হাজার লিটার বিয়ার নষ্ট হওয়ার উপক্রম। শেষমেশ উপায় না দেখে একটি প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে বিতরণ করছে বিয়ার।

ফেলে দেয়ার বদলে ক্রেতাদের মধ্যে বিনামূল্যে বিয়ার বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির ভিলিঙ্গার ব্রাউহাইস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে জার্মানির হেসে রাজ্যের এই প্রতিষ্ঠানটি দুই হাজার ৬০০ লিটার বিয়ার বিতরণ করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিষ্ঠানের মালিক ফ্রানৎস মাস্ট রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা আশা করব, এখন যারা আসছেন, তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এভাবেই আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’

এই বিয়ার বিভিন্ন এলাকার রেস্তোরাঁ, বার ও হোটেলে সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছে ভিলিঙ্গার ব্রাউহাইস। এখন ধীরে ধীরে জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যে সবকিছু খুলতে শুরু করেছে। ফলে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার আগে নতুন বিয়ার উৎপাদনে যেতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।

ফ্রি বিয়ার নিতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। প্রায় প্রতিদিনই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরাসহ নানা নির্দেশনা মেনে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে বিয়ার নিতে দেখা গেছে তাদের।

বিয়ার নিতে আসা নাটালি ইউলিউস রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি আশা করব আমরা বিয়ার নিয়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির উপকার হবে। আর আমরাও বিকেলে বাগানে রোদে বসে মজার এই ভিলিঙ্গার বিয়ান পান করতে পারব।’

করোনা মহামারি অন্যন্য খাতের মতো জার্মানির বিয়ার উৎপাদনকেও ব্যাপকভাবে ব্যাহত করেছে। গ্রীষ্মকালে পুরো জার্মানি জুড়ে নানা ধরনের বিয়ার উৎসবের আয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু এবার বাভারিয়ার রাজ্যের বিখ্যাত অক্টোবর ফেস্টসহ অন্যসব বিয়ার উৎসব বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে করোনার কারণে। চীন ও ইতালিতে রফতানিও বন্ধ হয়ে গেছে।

এই অবস্থায় এই খাতে বড় ধরনের ধস নামার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে জার্মানির বিয়ার উৎপাদকদের সংগঠন ডয়চে ব্রাউয়ার বুন্ড।

এসআর/জেআইএম